Hottest Summer In Bengal: উষ্ণতম এপ্রিল! বৈশাখেই ৪৪ ছুঁই ছুঁই পারদ, সঙ্গে তাপপ্রবাহ, প্রবল দাবদাহে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী
এই শহরের পাশ দিয়েই গিয়েছে কর্কটক্রান্তি রেখা। ফলে ভৌগোলিক কারণেই এখানে গরমকালে গরম ও শীতকালে শীত বেশি পড়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবারই কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল পারদ। সঙ্গে দোসর হয়েছিল তাপপ্রবাহ। সোমবার আরও চড়ল পারদ। চলতি মরশুমে আজ রেকর্ড তাপমাত্রা উঠল বাঁকুড়ায়। আবহাওয়া দফতর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আজ বেলা আড়াইটেয় বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মরশুমের সর্বোচ্চ। সেইসঙ্গে বেলা বাড়তেই লু বইতে শুরু করে। জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রবল গরমে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি, আজ পশ্চিম মেদিনীপুরেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৩ ডিগ্রি। গরমের সঙ্গে রয়েছে প্রবল অস্বস্তিও। বেলা যত বেড়েছে, গরমও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা মেদিনীপুরবাসীর। বেলা একটু গড়াতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে। দুপুরে কার্যত জনশূন্য চেহারা নেয় মেদিনীপুর শহর। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে আর বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। ঘরবন্দি থেকেছে সবাই। আর যাঁদেরকে বাধ্য হয়ে বেরতে হয়েছে, তাঁদের দেখা গেল ডাবের জল আর আঁখের রসে গলা ভেজাতে। গরম ও তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে কেউ কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকেছে, কেউ বা ছাতা মাথায় দিয়ে যাতায়াত করছেন।
এদিন ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে কৃষ্ণনগরেও। বিকেল ৩টেয় কৃষ্ণনগরের তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৪২ ডিগ্রিতে। উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর শহরের পাশ দিয়েই গিয়েছে কর্কটক্রান্তি রেখা। ফলে ভৌগোলিক কারণেই কৃষ্ণনগরে গরমকালে গরম ও শীতকালে শীত বেশি পড়ে। তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা শহরবাসীর। রাস্তাঘাটে লোক নেই। সুনসান এলাকা। সপ্তাহের প্রথমদিন সোমবারেই কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে শহর। ৪২ ডিগ্রি পারদ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরেও।
প্রবল গরমে সুস্থ থাকতে ইতিমধ্যেই চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন-
১) কমপক্ষে ৩ লিটার জল খেতে হবে দিনে।
২) সকালে বা বিকেলে বেরনো ভালো, দুপুরে না বেরনো-ই ভালো।
৩) গরম থেকে এসে ঘাম শুকিয়ে তারপর ফ্য়ান বা এসি চালাতে হবে।
৪) ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাবেন না।
৫) শিশুদের প্রচুর জল, ওআরএস খাওয়াতে হবে।
৬) কার্বোনেটেড বা ফ্রুট জুসের বদলে ফল খান।
৭) মশলাদার খাবার নয়।
আরও পড়ুন, Bogtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ-চাকরি সবটাই 'বেআইনি', রাজ্যের জবাব তলব আদালতের