হালিসহর পুরসভার অনাস্থা মামলায় বিজেপির আর্জি মেনে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ বাড়াল হাইকোর্ট
বিজেপির আর্জি মেনে ২ অগাস্ট পর্যন্ত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হালিসহর পুরসভার অনাস্থা মামলায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ বাড়াল হাইকোর্ট। বিজেপির আর্জি মেনে ২ অগাস্ট পর্যন্ত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। তাছাড়াও বিজেপির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আরও একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মামলাকারীদের একাংশ অভিযোগ করেন, নিয়ম মেনে অনাস্থা আনা হয়নি। তাঁদের দাবি, এই প্রস্তাব ত্রুটিপূর্ণ। অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে যে বৈঠক ডাকা হয়, তাও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয়। রাজ্য দাবি করে, হোয়াটসঅ্যাপে নয়, স্পিড পোস্টেই পাঠানো হয়েছিল নোটিস। এদিন বিচারপতি রাজ্যকে সেবিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার পরবর্তী শুনানি।
হালিসহর পুরসভার অনাস্থা ইস্যুতে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। নিয়ম মেনে অনাস্থা আনা হয়নি, এমনটাই অভিযোগ করছেন মামলাকারীরা। কেন অনাস্থা আনছেন, তা প্রস্তাবে বলা হয়নি বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। তাঁদের দাবি, এই প্রস্তাব ত্রুটিপূর্ণ। মামলাকারীদের আরও দাবি, বিজেপি নয়, তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরা। আগামী ৬ মাস অনাস্থা আনা ঠেকাতেই এই পদ্ধতি নিয়েছে তৃণমূল।
কোন্নগরে অধ্যাপক নিগ্রহকাণ্ডে অভিযুক্ত কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিককে শোকজ তৃণমূলের
২৩ আসনের হালিসহর পুরসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২। একজন নির্দল, একজন বিজেপি। ২৮ মে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে হালিসহর পুরসভা দখল করে বিজেপি। ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ১০ জুলাই ৯ জন কাউন্সিলর হালিসহর পুরসভায় এসে দাবি করেন, তাঁরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যা হল ১২। বিজেপির দখলে ৯টি আসন।
সম্প্রতি হালিসহর পুরসভার ১১জন কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। আনছে যার মধ্যে২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তারপরই পুরপ্রধান অংশুমান রায় শুক্রবার বৈঠক ডাকেন। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থাএনেছে। সেক্ষেত্রে তাদের একটি অভিসন্ধিও রয়েছে। যাতে আগামী ৬ মাস তৃণমূল চেয়ারম্যান অংশুমান রায়ের বিরুদ্ধে কেউ অনাস্থা আনতে না পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ তৃণমূলের।