'যা বলার বলেছি, সিদ্ধান্তগ্রহণ তাঁদের হাতে', মোদী-শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন রাজ্যপাল

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সন্দেশখালি ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।

Updated By: Jun 10, 2019, 03:16 PM IST
'যা বলার বলেছি, সিদ্ধান্তগ্রহণ তাঁদের হাতে', মোদী-শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন রাজ্যপাল

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়ালেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। সন্দেশখালি সংঘর্ষের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কড়া বার্তায় উসকে ওঠে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা। কেন্দ্র প্রয়োজন বুঝলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পথেও হাঁটতে পারে, রবিবার মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর কথাতেও মিলেছিল এমন ইঙ্গিত। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়ালেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি বলেন, "আমার যা বলার ছিল আমি বলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমার যা বলার ছিল, সবটাই বলে দিয়েছি। এখন এটা সিদ্ধান্তগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে তাঁদের উপর নির্ভর করছে।" প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সন্দেশখালি ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার যা জানা, তা প্রধানমন্ত্রীকে খোলাখুলি জানাব।’’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, ন্যাজাট কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কড়া 'ধমকের' মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া বার্তা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই বার্তায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে পরামর্শ দেওয়া হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তি ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। কোনও অফিসারের কাজে গাফিলতি পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরও পড়ুন, ন্যাজাটকাণ্ডে হস্তক্ষেপ ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর, এলাকা সরেজমিনে দেখতে পৌঁছল ৬ সদস্যের দল

শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সন্দেশখালির ন্যাজাটের হাতগাছি। এখনও ১ তৃণমূল কর্মী সহ ২ বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে উভয় শিবিরই দাবি করেছে, কমপক্ষে ৫ জন করে কর্মী তাঁদের এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এলাকা থমথমে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলি। আজ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ন্যাজাট যায় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

.