পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কার্ডে নাম-ই নেই! টুইট ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের

"সম্পূর্ণ বিধি মেনে আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর কোনও উত্তর না আসায়, আমরা বাধ্য হয়েছি তড়িঘড়ি আমন্ত্রণপত্র ছাপাতে।"

Reported By: শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Feb 12, 2020, 12:32 PM IST
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কার্ডে নাম-ই নেই! টুইট ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের রাজ্য়-রাজ্যপাল সংঘাত। ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবকে কেন্দ্র করেই পারদ চড়ল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। এই অভিযোগে সরব হয়েছেন ক্ষুব্ধ জগদীপ ধনকড়।

টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, "১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্র নাথ ঘোষ এবং বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আচার্য, যাঁর সভাপতি হওয়ার কথা, তাঁকেই জানানো হয়নি! এ আমরা কোথায় যাচ্ছি!"

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র

যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সমাবর্তনে আসার জন্য চিঠি পাঠানো হয় রাজভবনে। তবে কোনও উত্তর আসেনি। তাই কার্ডে রাজ্যপালের নাম নেই। উপাচার্য বলেন, "সম্পূর্ণ বিধি মেনে আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর কোনও উত্তর না আসায়, আমরা বাধ্য হয়েছি তড়িঘড়ি আমন্ত্রণপত্র ছাপাতে। একারণে আমন্ত্রণপত্র ছাপাতেও দেরি হয়েছে। আমাদের তরফ থেকে কোনওরকম খামতি নেই। দুদিন পর সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল যদি আসেন, আমরা তাঁকে স্বাগত জানাব।"

আরও পড়ুন, মমতার ফর্মুলাতেই নাকি দিল্লি বিজয় আপের! নেত্রীর হুঙ্কার, 'BJP-র শেষ কলস ডুববে একুশে'

আরও পড়ুন, যস্মিন দেশে যদাচার! যাদবপুরে ছাত্রীদের জন্য ন্যাপকিন-ভেন্ডিং মেশিন দাবি ABVP-র

প্রসঙ্গত, এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবেও রাজ্যপালের উপস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ-বিতর্ক ছড়ায়। সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে CAA, NRC ইস্যুতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। অনড় ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে শেষপর্যন্ত সমাবর্তন উৎসবে যোগ না দিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হন ধনখড়। তাঁকে ছাড়াই হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব। এবার কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষপর্যন্ত কী হয়, সেটাই দেখার।

.