Serampore: ছাঁট লোহা কাটতে গিয়ে ভয়ংকর বিস্ফোরণ; ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ল ২ শ্রমিক, আহত ৪
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল এই ঘটনার পর কারখানা চত্বরে ছুটে আসেন। তিনি বলেন,দুর্ঘটনার পর ম্যানেজমেন্টের লোকজন পালিয়ে যায়। মৃতদেহ বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন এলাকার লোক বাধা দেয়। কারখানার ম্যানেজার কুণাল রায় বলেন, আমি এগারোটার সময় এসে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি
বিধান সরকার: গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়ংকর কাণ্ড। বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন কারখানার ২ শ্রমিক। আহত আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সাড়ে দশটা নাগাদ ওই কারখানার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তোলপাড় হুগলির শ্রীরামপুর।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর জমি 'চুরি'র তোপ, নাম না করে অর্মত্য সেনকে 'হা*মি' বললেন তথাগত!
শ্রীরামপুরের পিয়ারপুরের দিল্লি রোডের পাশে একটি ছাঁট লোহার কারখানায় গ্যাস কাটারে লোহা কাটার কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকাই গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কর্মরত ২ শ্রমিক। একজনের নাম গুয়েরাম দোলুই এবং অন্যজনের নাম পঙ্কজ দাস। আহত হন আরও ৪ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে শ্রীরামপুরের শ'ওয়ালেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের কলকাতায় পাঠানো হয়।
কারখানা সূত্রে খবর, গণেশ স্টিল নামে ওই কারখানায় ছাঁট লোহা গলানো হয়। আজ সকালে শ্রমিকরা গ্যাস কাটার দিয়ে লোহা কাটছিল। হঠাত্ই প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে যায়। লুটিয়ে পড়েন ২ শ্রমিক। ওই ঘটনার পর কারখানায় প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শ্রমিকরা। কারখানার অফিসে ভাঙচুর চালায় তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিস।
ঘটনার খবর পেয়ে কারখানায় চলে আসেন শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন। তিনি বলেন, লোহা কাটাইয়ের কাজ চলার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ডিফেন্সের ছাঁট লোহা কাটা হচ্ছিল। নাম মাত্র পারিশ্রমিকে এভাবে শ্রমিকদের কাজ করানো কতটা বৈধ তা খতিয়ে দেখা দরকার। যাদের মৃত্যু হয়েছে বা যারা আহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কারখানার শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন,অনেক ধরনের লোহার ছাঁট মাল এখানে আসে। বড় লোহা হলে সেগুলোকে গ্যাস দিয়ে কাটিং করে আমরা ছোট করি। অনেক ধরনের লোহা আসে যার মধ্যে কামানের গোলাও থাকে। যেগুলোতে বারুদ থাকে। সেগুলো আলাদা করে দূরে ফেলে রাখি। সুপারভাইজার ভীম সিং আজ বলে গোলাগুলোকে কাটতে বলে। তা কাটার সময় বিস্ফোরণ হয়। আমাদের নিরাপত্তা নেই এই কারখানায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল এই ঘটনার পর কারখানা চত্বরে ছুটে আসেন। তিনি বলেন,দুর্ঘটনার পর ম্যানেজমেন্টের লোকজন পালিয়ে যায়। মৃতদেহ বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন এলাকার লোক বাধা দেয়। কারখানার ম্যানেজার কুণাল রায় বলেন, আমি এগারোটার সময় এসে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। স্টিল প্ল্যান্টে ছাঁট লোহা দিয়ে কাজ হয়। মৃত এবং আহতদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করা হবে।
চন্দননগর পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন,কারখানায় একটা দূর্ঘটনা হয়েছে।দুজন মারা গেছে। কী কারনে এই দূর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হবে।আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আজ রিষড়া চার নম্বর রেলগেট এলাকার একটি আবাসনে আগুন লেগে যায়। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগে আবাসনের চার তলায়। বেলা বারোটা নাগাদ প্রতিবেশীরা দেখেন আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে দাউ দাউ করে আগুনের শিখা বেরোচ্ছে। চাঞ্চল্য ছড়ায় আবাসন চত্বরে। পরিস্থিতি বুঝে আশেপাশের আবাসন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ই ব্লকের ১৩ নম্বরের ওই ফ্ল্যাটটি অনিতা প্রসাদ নামে এক মহিলার। আগুন লাগার সময়ে ফ্ল্যাটে কেউ ছিলেন না। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর আকবর আলি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ফাঁকা ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।স্থানীয়রা দমকলে খবর দেয়।দমকল এসে মই লাগিয়ে উপরে উঠে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।