কোচবিহারে বিজেপি সভাস্থল 'হিন্দু মতে' শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল
তৃণমূল নেতা পঙ্কজ ঘোষ বলেন, কোচবিহার মদনমোহনের শহর। এই শহরে একমাত্র রথে চড়ার অধিকার রয়েছে মদনমোহন ঠাকুরের। সেখানে অন্য কেউ রথের নামে সাম্প্রদায়িকতা করতে এলে কোচবিহারবাসী মেনে নেবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে শনিবার বিজেপির জনসভার পরদিনই কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা ময়দানে শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল। সম্পূর্ণ 'হিন্দু শাস্ত্র' মতে এদিনের শুদ্ধিকরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচবিহার যুব তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে পঙ্কজ ঘোষ।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ, গঙ্গাজল, গোবরজল, ঘট আমপাতা নিয়ে বিজেপির গতকালের সভাস্থলে হাজির হন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেখানে প্রথমে গোবরছড়া দিয়ে মাটি শুদ্ধ করা হয়। এর পর ঘট থেকে আমপাতা দিয়ে গঙ্গা জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করা হয় বাকি জিনিসপত্র।
তৃণমূল নেতা পঙ্কজ ঘোষ বলেন, কোচবিহার মদনমোহনের শহর। এই শহরে একমাত্র রথে চড়ার অধিকার রয়েছে মদনমোহন ঠাকুরের। সেখানে অন্য কেউ রথের নামে সাম্প্রদায়িকতা করতে এলে কোচবিহারবাসী মেনে নেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন। তাই উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা বলতে না পারায় সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে বিজেপি।
আদালতে বড় ধাক্কা, রথযাত্রা মামলায় বিচারপতিদের চরম তিরস্কারের মুখে রাজ্য
শুক্রবার কোচবিহারের এই ঝিনাইডাঙা ময়দান থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বিজেপির রথযাত্রার। উদ্বোধন করতে আসার কথা ছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কিন্তু। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ দেওয়া শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে যায়। ওদিকে শনিবার ঝিনাইডাঙার সভাস্থলে পৌঁছে যান বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক। শেষ পর্যন্ত মুখ রাখতে সেখানে বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যের নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, জনসভা নয়, উপস্থিত জনতাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভা করেছে বিজেপি।
ওদিকে বিনা অনুমতিতে সভা করায় শুক্রবার রাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিস। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও ৬,০০০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ |