Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় বড় আপডেট, সাসপেন্ড চার সিবিআই অফিসার
দুটি ঘটনার তদন্তও করছিল সিবিআই। একদিকে ছিল ভাদু শেখের খুনের ঘটনা, অন্যদিকে ছিল বগটুই আর্সন কেস। দুই আলাদা কেসে দুজন আলাদা তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। এরমধ্যে একজন ছিলেন সিবিআই-এর ইন্সপেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী এবং অন্যজন ডিএসপি বিলাস মদ্গুথ। এই দুই অফিসারের পাশাপাশি দুই কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিক্রম দাস: সিবিআই হেফাজতে লাল শেখের মৃত্যুর ঘটনায় বড় আপডেট। এই ঘটনায় সাসপেন্ড হলেন চারজন সিবিআই অফিসার। অস্থায়ি ক্যাম্পে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের মৃত্যু হয়। লালন শেখের মৃত্যু সিবিআই-এর যে কাস্টডিতে হয়েছিল সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই চারজন।
দুটি ঘটনার তদন্তও করছিল সিবিআই। একদিকে ছিল ভাদু শেখের খুনের ঘটনা, অন্যদিকে ছিল বগটুই আর্সন কেস। দুই আলাদা কেসে দুজন আলাদা তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। এরমধ্যে একজন ছিলেন সিবিআই-এর ইন্সপেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী এবং অন্যজন ডিএসপি বিলাস মদ্গুথ। এই দুই অফিসারের পাশাপাশি দুই কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই দুইজনের সাসপেন্ড হওয়ার পরে নতুন দুই জনকে এই দুই মামলার তদন্তে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
লালন শেখের মৃত্যুর পরে রাজ্য পুলিসের তরফ থেকে এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআর-এ নাম ছিল এই দুই আধিকারিকের। একইসঙ্গে গরু পাচার কান্ডের তদন্তকারী অফিসারের নাম ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘এই মুহুর্তে যারা রাজনীতির চর্চা করেন, এই রাজ্যের প্রবীণ মানুষ এবং রাজ্যের বাইরে ভাবছেন একদিনপ পশ্চিমবঙ্গ ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামতের এবং মতাদর্শের একটা থিক্তহাক প্রয়োগভূমি। এখানে রাজনৈতিক সংঘাত হতো। এখন তারাই প্রশ্ন করছেন যে রাজনীতি তুমি কেমন আছ? তুমি কি ভাল আছ? আজকে কিছু মানুষকে সুপরিকল্পিতভাবে বন্ধ অবস্থায় জীবন্ত পুরিয়ে মেরে দেওয়া হল। একে তো সিবিআই মারেনি। এখানে তো নরেন্দ্র মোদীর কোনও দাদার দ্যূত এসে মেরে যায়নি। মেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মারবার পরে মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিলেন এটা দুর্ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী পরের দিন গেলেন। তিনি দাঁড়িয়ে বললেন সুচপুরের মতন করে কীভাবে ঘটনাকে সাজাতে হবে। সিবিআই হেফাজতে লালন শেখ মারা গিয়েছেন এর ডায় সিবিআই-কে নিতে হবে। কেউ অস্বীকার করছে না। তাঁরা তাঁদের মতো করে তদন্তও করে চারজন অফিসারকে সাসপেন্ড করেছেন। কিন্তু যদি সিবিআই তদন্তও প্রকৃত দোষীকে উদ্ধার করতে ব্যর্থও হয়, জে মানুষগুলো জীবন্ত মারা গেল সেই ঘটনা কী মিথ্যা হয়ে যাবে? এইধরনের অবাস্তব তত্ব মানুষের সামনে তুলে এনে লাভ নেই। যা কিছু হচ্ছে মানুষ দেখছে। আর গনতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে। তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষই বিসর্জন দিয়ে দেবে’।
আরও পড়ুন: Sonarpur: বঁটি দিয়ে বৌদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, দেওরকে গণধোলাই স্থানীয়দের
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বগটুয়ের ঘটনা সবাই দেখেছে। সিবিআই হেফাজতে কেন লালন শেখ্র মৃত্যু হবে। কেন সিবিআই রক্ষ্যা করতে পারেনি? প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের অধিকার রয়েছে। সেই কারনেই আমরা প্রথমদিন থেকে বলছি অপরাধ সিবিআই-এর। তাঁরা অপরাধ করেছে এবং চারজন সাসপেন্ড হয়েছে। ঠিক হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ডায় সিবিআই-কেই নিত হবে।
সিবিআই আত্মহত্যার কথা জানিয়েছে অন্যদিকে রাজ্য পুলিসের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অবস্থায় সিবিআই-র বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছিল যে এই ঘটনা ১২ ডিসেম্বর ঘটেছে। তারপরে এতদিন কেটে গেলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু একমাসের মধ্যেই চারজনকে সসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে গরু পাচার কান্ডের আইও-নাম থাকলেও সুশান্ত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কারণ এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সরাসরি যোগাযোগ পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এটা রুটিন, এটা হওয়ারই ছিল। এত বড় ঘটনা সেখানে সাসপেনশনের মতন ব্যবস্থা স্বাভাবিক ঘটনা। প্রশ্নটা এর বাইরের। লালন শেখের এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ছিল। এই সাস্পেনশনের ঘটনায় তাঁর কী উত্তর পাওয়া যাচ্ছে? এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, পাওয়া যাচ্ছে না। ধরা যাক শুভেন্দু অধিকারী বললেন ১২ জানুয়ারি কিছু ঘটবে। আমরা দেখলাম ১২ তারিখ লালন শেখের রহস্যমৃত্যু হল। তাহলে এই ঘটনায় তাঁরও জিজ্ঞাসাবাদ হওয়া উচিত’।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই রহস্যমৃত্যুর আঙ্গিক তাতে যে যে প্রশ্ন উঠে এসেছিল তাতে আজকের এই সাসপেনশন এই প্রশ্নকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা নয়তো?’