মত্সজীবীদের ভাগ্য খুলে গেল! ৮০০ কেজির মাছ বিক্রি হল ১৬ লাখ টাকায়
দিঘার কাছে মত্সজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির মাছ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনার প্রকোপ কমাতে লকডাউনে মত্সজীবীদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। দীর্ঘদিন বাড়িতেই বসে ছিলেন তাঁরা। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেননি। লড়তে হয়েছে আর্থিক অনটনের সঙ্গে। দিনের পর দিন লকডাউনের জেরে তাঁদের অবস্থা যেন আরো শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। তবে কথায় বলে ভাগ্য ফিরতে সময় লাগে না। দিঘার কয়েকজন মত্সজীবীর ভাগ্যও ফিরতে বেশি সময় লাগল না। এক সকালে উঠেই ভাগ্য ফিরিয়ে দেওয়ার মতো কাণ্ড ঘটে গেল তাঁদের সঙ্গে। রাতারাতি লাখপতি বললেও কম বলা হবে না। আর ভাগ্যদেবতা যেন স্বয়ং উঠে এলেন সমুদ্র থেকে।
দিঘার কাছে মত্সজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির মাছ। দেখতে অনেকটা ফ্লাইং শিপ-এর মতো ছিল সেই মাছ। সেই মাছ বিক্রি করে মত্সজীবীরা লাখপতি হলেন। ৮০০ কেজি ওজনের সেই দানবাকৃতির মাছ বিক্রি হল ১৬ লাখ টাকারও বেশি দামে। স্থানীয় মত্সজীবীরা জানিয়েছেন, দিঘার কাছে মোহনায় এই মাছ সচরাচর দেখা যায় না। মত্সজীবীদের জালে ধরা পড়তে এই বিরাট মাছ তুলতে বেগ পেতে হয়। কোনওরকম ট্রলারে তুলে সেটিকে পাড়ে নিয়ে আসেন মত্সজীবীরা। এর পর ক্রেন দিয়ে তুলে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাজারে। সেখানে মাছ বিক্রি হল কেজি প্রতি ২১০০ টাকা দরে।
আরও পড়ুন- সোনামুখী চৌমাথায় বরযাত্রী গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মালবোঝাই লরির, দেখুন ভিডিয়ো
মত্সজীবীরা জানিয়েছেন, চিল শঙ্কর প্রজাতির মাছ সেটি। বিরল প্রজাতির এই মাছ দিঘার কাছে মোহনায় এর আগে ধরা পড়েনি। এই মাছ জাপানসহ বেশ কিছু দেশে পাঠানো হয়। সেখানে এই ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে এই মাছের চামড়া ও শরীরের বিভিন্ন অংশ। মোহনা ফিশার অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে জানানো হয়েছে, উপকূল অঞ্চলে এর আগেও অনেকবার বিশালাকার মাছ ধরা পড়েছে। তবে চিল শঙ্কর প্রজাতির মাছ ধরা পড়েনি। এত বড় মাছ ধরে মত্সজীবীদের আনন্দের সীমা নেই।