লেকটাউন ও দেগঙ্গা থেকে ফের ধৃত ২ ভুয়ো চিকিত্সক
ফের জালে ভুয়ো চিকিত্সক। লেকটাউন এবং দেগঙ্গা থেকে ধরা হল দুজনকে। ধৃত অরদ্বীপ চ্যাটার্জি ও গোবিন্দ সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই দুজনই ডাক্তার পরিচয়ে চিকিত্সা করে আসছিলেন। ধৃতদের দুজনকেই আজ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: ফের জালে ভুয়ো চিকিত্সক। লেকটাউন এবং দেগঙ্গা থেকে ধরা হল দুজনকে। ধৃত অরদ্বীপ চ্যাটার্জি ও গোবিন্দ সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই দুজনই ডাক্তার পরিচয়ে চিকিত্সা করে আসছিলেন। ধৃতদের দুজনকেই আজ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
কলকাতা থেকে ধৃত ভুয়ো ডাক্তারদের তালিকায় যুক্ত হল আরও ১ জন। ধরা পড়ল লেকটাউনের অরদ্বীপ চ্যাটার্জি।
নিজেকে পরিচয় দিতেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ হিসেবে। নামের পাশে লিখতেন MD। অথচ তাঁর MBBS-এর মত ন্যূনতম ডিগ্রিটিই নেই। খবর ছিল সিআইডির কাছে। খবর পেয়েছিল লেকটাউন থানার পুলিসও। খানিকটা নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালায় পুলিস। আর কেঁচো খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে আসে কেউটে। পুলিসের দাবি, অরদ্বীপের কাছে বিভিন্ন নথি দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু কোনও নথিই দেখাতে পারেননি তিনি।
অরদ্বীপ বিদেশ থেকে অলটারনেটিভ মেডিসিনের কোর্স করে আসেন। যে ডিগ্রির আদৌ কোনও দাম নেই এ দেশে। নিজেকে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ হিসেবেই পরিচয় দিতেন অরদ্বীপ। যুক্ত ছিলেন একটি ক্যানসার হাসপাতালের সঙ্গেও। প্রেসক্রিপশন লিখতেন। লেটার হেডে নামের পাশে লিখতেন MD।
আরেক জন গোবিন্দ সরকার। দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় চেম্বার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোবিন্দ সরকারের চেম্বারে হানা দেয় দেগঙ্গা থানার পুলিস। হাতে নাতে ধরা পড়ে যান ভুয়ো ডাক্তার গোবিন্দ। নামের পাশে জেনারেল ফিজিসিয়ান লিখে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিত্সা করে করে আসছিলেন গোবিন্দ।
ডিগ্রি নেই, অধিকার নেই। তবু বছরের পর বছর বুক ফুলিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে খেলে যাচ্ছেন এই ভুয়ো চিকিত্সকেরা। গোয়েন্দাদের একটাই প্রশ্ন, জাল কতটা দূর ছড়িয়ে? (আরও পড়ুন- জেভিয়ার্সে ভর্তি করানোর নাম করে ১৫ লক্ষ টাকার ঘুষ! ধৃতদের জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য)