সংঘাত চরমে! রাজভবনের গোপন তথ্য কীভাবে পৌঁছলো? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রাজ্যপালের
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল কার্যত একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাধীনতা দিবসের দিন কথা ছিল বিকেলে রাজভবনে চা-চক্রে অংশগ্রহণ করার। তবে, সকালেই রাজভবনে গিয়ে জগদীপ ধনখড়কে সারপ্রাইজ দিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথাগত ভাবে রাজভবনে স্বাধীনতা উদযাপনে মুখ্যমন্ত্রী না থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
শুধুই উষ্মা প্রকাশ করে ক্ষান্ত হননি, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল কার্যত একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত না থাকায় তিনি বলেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে বলেছিলাম সম্পূর্ণ কোভিড প্রোটোকল মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। উনি খুবই বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এমনটা কোনও জায়গায় কখনও এর আগে হয়নি। আমি বাকরুদ্ধ। উনি যখন এসেছেন তখন কাজে ব্যস্ত ছিলাম আমি।" অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক মর্যাদা অসম্মানিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে, এদিন গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজভবনের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, রাজভবনের কোনও কর্মচারী রাজ্যপালের কথা শুনবে না, এমন আচরণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রাজভবনের গোপন তথ্য কী করে রাজ্য প্রশাসনের সবোর্চ্চ স্তরে গেল? এ দিন প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "যে এই কাজ করুন না শাস্তি পাবেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। মমতার নাম না করে রাজ্যপালের কটাক্ষ, নবান্নের কোনও গোপন তথ্য এভাবে এলে আমি সতর্ক করতাম।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই জমজমাট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, প্রশ্নের মুখে বিধায়ক
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে আরও এক বার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে। তিনি বলেন, "কত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আর কত এসেছে, কিংবা কত কাজের প্রতিশ্রুতি হয়েছিল, কত পূরণ হয়েছে, তার এখনও উত্তর পাওয়া যায়নি। সংবিধানের নিয়ম মেনেই এই তথ্য জানানোর কথা বলা হয়।" ধনখড়ের অভিযোগ, রাজ্য সরকার শুধু মাত্র বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে চলতে পারে না। বাস্তবটা কী জানানোর প্রয়োজন।
১৫ অগস্টের দিনে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, মাওবাদীর পোস্টার নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "১৫ অগষ্ট আমার কাছে আবারও বেদনার দিন হয়ে উঠল। আমি লজ্জায় পড়লাম। সে দিন এই রাজ্যে রাজনৈতিক খুন হল। হুগলি আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঘটনা কষ্ট দিল। আবার কার্যক্রম প্রকাশ হচ্ছে মাওবাদীর। আইন নেই এমন একটা রাজ্যে যেন আমরা বাস করছি।"