দুর্গাপুরে খুন প্রাক্তন শিক্ষক! আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলাতেই কি বিপত্তি?

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গাপুরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। ফরিদপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন প্রাক্তন শিক্ষক তপন মুখার্জি। মেয়ে ও বৃদ্ধা মায়ের সামনেই এলোপাথাড়ি কোপ দেয় দুই দুষ্কৃতী। হাতেনাতে পাকড়াও এক। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স।

মেয়ের সামনেই বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল দুষ্কৃতী। জেরায় জানা গিয়েছে ধৃত প্রদীপ চৌহান উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তরুণীকে ওই যুবক উত্তক্ত করত বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হত।

দুর্গাপুর থানা এলাকার ফরিদপুর গ্রামের ঘটনা। রাত্রি দশটা নাগাদ বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতী। ভিরিঙ্গি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক তপন মুখার্জি সেই সময় তাঁর নিজের বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর মেয়েও বাড়িতে ছিলেন। যুবক বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তপন বাবুকে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তপন বাবুর। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তপন বাবুর স্ত্রী সুনন্দা মুখার্জির দাবী, সম্ভবত সম্পত্তির কারনেই এই খুন করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।

এদিকে, এর মধ্যেই এই ঘটনায় জেরা করে নয়া তথ্য সামনে এসেছে। তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বলে জেরায় পুলিসকে জানিয়েছে ধৃত প্রদীপ চৌহান। পুলিস জানিয়েছে, জেরায় ধৃতের স্বীকারোক্তি, তরুণীর সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তরুণীর বাবা। সেই প্রমান লোপাটের জন্যেই তরুণীর বাবাকে খুন করেছে সে। যদিও ধৃতের এই স্বীকারোক্তি ভাবাচ্ছে পুলিসকে। পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে ধৃত মনগড়া গল্প সাজাচ্ছে কি না তাও বোঝার চেষ্টা করছে পুলিস। আরও পড়ুন- ডিলিট করলেও মোবাইলে ফিরে আসছে ‘মোমো’, কালিয়াগঞ্জে আতঙ্কে কিশোরের পরিবার

টাকিতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে মদ খাইয়ে ধর্ষমের অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সবুজ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিস।

ধর্ষিতা কিশোরীর কথায়, ২৪ অগস্ট (শুক্রবার) সে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয় এবং সে কিশোরীকে বাইকে করে আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে। এরপর কিশোরী বাইকে চড়তেই ওই যুবক তাকে ইছামতীর তীরে শ্মশান লাগোয়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আরও তিন যুবক যোগ দেয় এবং চার যুবক মিলে মদ্যপান করে। এই সময় ওই কিশোরী বারবার আত্মীয়ের বাড়ি যেতে চাইলে, তার কথায় যুবকরা কর্ণপাতও করে না। বরং কিশোরীকেও তারা জোর করে মদপান করায়। এরপরই ওই কিশোরী অচৈতণ্য হয়ে পড়লে, তাকে গণধর্ষণ করা হয়। আরও পড়ুন- শ্বশুর-শাশুড়ির অশান্তি মেটাতে গিয়েছিলেন জামাই, পরিণতি হল মারাত্মক