'বাবুল সুপ্রিয় পুরো সত্যি বলেননি', থিম সং বিতর্কে কড়া কমিশন
কমিশন জানিয়েছে, "বাবুল নিজে তাঁর গান টুইট করেছিলেন। অথচ তিনি দাবি করেছিলেন, মিডিয়া তাঁর গান বাইরে বাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার ছিল না। কিন্তু, কমিশনের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত যে বাবুল নিজেও তাঁর গান টুইট করে সকলের সামনে এনে ছিলেন।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিতর্কিত থিম সং নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র যুক্তি খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, গানটির প্রচার নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় যে দাবি করেছিলেন, তার পুরোটা সত্যি নয়। দিল্লিতে ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার দফতরে জমা পড়েছে এমনই রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গানটি সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। ভাইরাল হয়ে যায় গানটি। অভিযোগ, 'ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল' শীর্ষক এই গানের ছত্রে ছত্রে সমালোচনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের। নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হলেও, এই গান প্রকাশের আগে কমিশনের অনুমতি নেননি বাবুল। মিডিয়া সার্টিফিকেশন ছাড়া কেন থিম সংটি ইউটিউবে তুলেছেন, সে প্রশ্ন তুলে এরপরই বাবুল সুপ্রিয়কে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।
শোকজের প্রেক্ষিতে বাবুল দাবি করেন, গানটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। গানটি নিয়ে পরামর্শ নিতে হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকজন দলীয় কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে গানটি। তিনি নিজে গানটি প্রকাশ্যে আনেননি। মিডিয়া সামনে এনেছে। কিন্তু বাবুলের সেই উত্তরে খুশি হয়নি কমিশন। আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীর সেই যুক্তি খারিজ হয়ে যায় তাঁরই করা একটি টুইটে। টুইটে দেখা যায়, বিজেপির থিম সংটি রেকর্ড করছেন বাবুল সুপ্রিয়। রেকর্ডিংয়ের পর অডিও চেক করছেন তিনি।
আরও পড়ুন, তদন্ত শেষ, লোকসভা ভোটের মধ্যেই নারদাকাণ্ডের চার্জশিট, জানাল সিবিআই
টুইটে একটি ভিডিও শেয়ার করে বাবুল লিখেছিলেন, "খুব আনন্দ হচ্ছে। আপনাদের সবার জন্য বিজেপির থিম সং রেকর্ডিংয়ের এক ঝলক রইল। অমিত চক্রবর্তীর লেখা এই গানে গলা দেওয়া একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে আমাদের এই গান।" সেই টুইটটিকে উল্লেখ করেই কমিশন জানিয়েছে, "বাবুল নিজে তাঁর গান টুইট করেছিলেন। অথচ তিনি দাবি করেছিলেন, মিডিয়া তাঁর গান বাইরে বাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু করার ছিল না। কিন্তু, কমিশনের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত যে বাবুল নিজেও তাঁর গান টুইট করে সকলের সামনে এনে ছিলেন।"