Municipality Election: পদযাত্রা বা রোড-শো-এ 'না'; বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের নির্দেশিকা জারি কমিশনের
প্রচারসভায় থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৭২ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পদযাত্রা বা রোড-শো নয়, প্রচার করতে হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে (Door to Door Campaign)। তাও মাত্র ৫ জন! আর যদি প্রচার সভা হয়, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ জন সেই সভায় যোগ দিতে পারবেন। ভোটের কতক্ষণ আগে পর্যন্ত প্রচার করা যাবে? ৭২ ঘণ্টা। রাজ্যে পুরনিগমে নির্বাচন আগে নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। আক্রান্তের সংখ্যাও উর্ধ্বমুখী। কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যে ফের কড়া বিধিনিষেধ (Covid Restriction) জারি করেছে সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। বাদ যায়নি সুইমিং পুল, সেলুন, স্পা, জিম, চিড়িয়াখানা, পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদন পার্কও। স্রেফ শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ ও সিনেমা হলই নয়, ৫০ শতাংশ যাত্রী চলছে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো। নির্ধারিত সূচি মেনেই কি পুরভোট ভোট হবে? এদিন মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারিই ভোট হবে শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগরে পুরনিগমে। সংক্রমণ এড়াতে প্রচার সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল কমিশন।
তখনও মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতে কিন্তু ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, 'বিধানসভা ভোটের সময়ে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে করোনা বাড়ছিল। অথচ এ রাজ্যে ভোট বন্ধের দাবি উঠেছিল। আর এখন মাত্র কয়েকটি পুরসভা ভোট হবে, তাহলে কেন ভোট বন্ধ করা হচ্ছে না'? এমনকী, কলকাতার সঙ্গেই অন্যন্য় পুরসভাগুলিরও ভোট করিয়ে নেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।