Kulti Murder: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের খুন, সাতসকালেই ইসিএল কর্মীকে গুলি কুলটিতে
মঙ্গলবার হীরাপুরে ছুরির আঘাতে খুন হন এক ব্যক্তি। তার গলার নলি কেটে খুন করা হয়
![Kulti Murder: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের খুন, সাতসকালেই ইসিএল কর্মীকে গুলি কুলটিতে Kulti Murder: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের খুন, সাতসকালেই ইসিএল কর্মীকে গুলি কুলটিতে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/01/19/361854-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের খুন আসানসোলে। মঙ্গলবার হীরাপুরে এক ব্যক্তি খুনের পর বুধবার সাতসকালে কুলটির শীতলপুরের তুলসী হেরে গ্রামে গুলিতে মৃত্যু হল পরেশ মারান্ডি নামে এক খনিকর্মীর। এনিয়ে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় রয়েছে একটি অস্থায়ী দোকান। সেখানে সম্ভবত দেশি মদের কারবার চলতো। সেখানেই পরেশ মারান্ডিকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাদের দাবি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল পরেশ। রক্তাক্ত পরেশকে আসানসোল(Asansol) জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরেরা। কুলটি(Kulti) থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ে করার পর পরিবারের সঙ্গে থাকতো না পরেশ। দামোদর নদের পাড় ঘেঁসা একটি জায়গা থাকতো সে। মাঝেমধ্য়ে বাড়িতে আসতো। সম্প্রতি এক পরব উপলক্ষ্যে সে বাড়িতে এসেছিল। ইসিএলের(ECL) কর্মী হলেও বহুদিন ধরে সে কাজে যায়নি বলে ইসিএল সূত্রে খবর। স্থানীয়দের দাবি কাজ না যাওয়ার জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Goa Assembly Election 2022 : জোট চাইছে না কংগ্রেস! ইঙ্গিত 'ক্ষুব্ধ' সঞ্জয় রাউতের
এদিকে, মঙ্গলবার হীরাপুরে ছুরির আঘাতে খুন হন এক ব্যক্তি। তার গলার নলি কেটে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটে হীরাপুর(Hirapur) থানার রহমতনগর চাবি মোড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মোহাম্মদ সোনু ওই ব্যক্তির গলা ছুরি দিয়ে কেটে দিলে ঘটনাস্থলেই অচেতন অবস্থায় সে পড়ে যায়। তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তির নাম ফজল ইমাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত সোনু বেশিরভাগ সময় নেশা করে থাকে। তবে কী কারণে তাকে খুন করল সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ জানাতে পারেনি। আসানসোল পুলিস কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক মোদি ঘটনাস্থলে এসে বলেন, অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই হীরাপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।