সম্পত্তি হাতিয়ে ‘বেপাত্তা’ ছেলে! পরনে নেই কাপড়, না খেতে পেয়ে মর মর অবস্থা মায়ের
তিন ছেলে ও দুই মেয়ে থাকা সত্ত্বেও অযত্নে অনাহারে পরে আছেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা। অনাহারে, বিবস্ত্র অবস্থায় দিনযাপন করতে হয় তাঁকে। অভিযোগ, সম্পতি জোর করে লিখিয়ে নিয়েও দেখে না ছোট ছেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে গেছে। সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। মা আসছেন। দিকে দিকে কতই না আয়োজন। মৃণ্ময়ী মায়ের জন্য ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু এতো আয়োজনের পরও মা কাঁদছেন।
আরও পড়ুন- ‘তিনি আছেন এবং সর্বত্রই আছেন’
তিন ছেলে ও দুই মেয়ে থাকা সত্ত্বেও অযত্নে অনাহারে পরে আছেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা। অনাহারে, বিবস্ত্র অবস্থায় দিনযাপন করতে হয় তাঁকে। অভিযোগ, সম্পতি জোর করে লিখিয়ে নিয়েও দেখে না ছোট ছেলে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের গলসীর।
গলসী স্টেশনের পাশেই বাড়ি দুর্গারানী নাগের। স্বামী সুধীর কুমার নাগ মারা গেছে বেশ কয়েক বছর আগে। ছোট ছেলে আশুতোষ নাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বড় ছেলে জীবন কুমার নাগ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি বাইরে-ই থাকেন। বসত বাড়িতে বাস করেন মেজ ছেলে বিপদতারন নাগ। তিনি দোকানের কর্মচারী। ছোট ছেলে আশুতোষ নাগ পেশায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মেয়ে দিপালী নাগ আইসিডিএস কর্মী। জমি জায়গা লিখিয়ে নিয়ে ভরণপোষণের দায় নিয়েছিল শিক্ষক ছেলে আশুতোষ নাগ। কিন্তু গুণধর শিক্ষক ছেলে ১৬ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি করে বছর কয়েক আগে গলসী বাজারে নতুন বাড়ি করেছেন।
আরও পড়ুন- সপ্তমী, অষ্টমী না নবমী? কবে কোথায় ভারী বৃষ্টি হবে, স্পষ্ট করল আবহাওয়া দফতর
এরপর মা-কে দীর্ঘদিন অনাহারে ও বিবস্ত্র অবস্থায় থাকতে দেখে পঞ্চায়েতে খবর দেন মেজ ছেলে বিপদতারন নাগ। আর্থিক দুর্বলতার জন্য ওই বাড়িতে আর বিদ্যুৎ সংযোগ করতে পারেনি তিনি। কুরকুবা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সোনা বাগ্দী ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সেখ সাবির উদ্দিন আহম্মদ দুর্গা দেবীর বাড়িতে যান। বৃদ্ধার খোঁজ নিতে গেলে মেয়ে দিপালী নাগ কার্যত তাদের বাধা দেন।
স্থানীয়রা জানান চার পাঁচ বিঘে জমি একাই ভোগ করেন ছোট ছেলে স্কুল শিক্ষক আশুতোষ নাগ। তিনি দায়িত্ব নিলেও দেখভাল করেন না। মা-কে ফেলে তিনি অন্য জায়গায় বসবাস করেন। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় করুন অবস্থায় দিন যাপন করছেন বৃদ্ধা মা।