Ketugram: পাশবিক আক্রোশ! গাছ কাটার বড় কাঁচিতেই স্ত্রী কব্জিতে কোপ 'জল্লাদ জামাই' এর
পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে কেতুগ্রামের তরুণীর কব্জি কাটা হয়েছে গাছ কাটার বড় কাঁচি দিয়ে। প্রথমে পরিবারের দাবি ছিল কাটারি দিয়ে হাত কাটা হয়েছিল। কিন্তু পুলিসি তদন্তে উঠে কাঁচির তথ্য উঠে এসেছে।
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: স্ত্রী রেণু সরকারি হাসপাতালে চাকরি পেতেই, খুশি হওয়ার বদলে স্বামী সরিফুল 'নিরাপত্তাহীনতা'য় ভুগতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সরকারি চাকরি পেয়ে স্বামীকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন রেণু! এমনটা ভাবতে শুরু করেন সরিফুল। তার বন্ধুরা তার মাথায় ওই কথা গেঁথে দেয়। রেণুর পরিবারের দাবি, শনিবার রাত্রিতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফিস্ট করেছিল সরিফুল। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে হাত থেঁতলে টিন কাটার কাঁচি করে ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়।
তবে পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে কেতুগ্রামের তরুণীর কব্জি কাটা হয়েছে গাছ কাটার বড় কাঁচি দিয়ে। প্রথমে পরিবারের দাবি ছিল কাটারি দিয়ে হাত কাটা হয়েছিল। কিন্তু পুলিসি তদন্তে উঠে কাঁচির তথ্য উঠে এসেছে। যদিও কাঁচি পুলিস এখনও উদ্ধার করতে পারেনি।এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা চাঞ্চল্য ছড়ায়।
গ্রামবাসীরা জানান, রেণু খাতুন ও তার স্বামীর মধ্যে কোনও বিবাদ কোনও দিনই তারা দেখেনি। শ্বশুরবাড়ির বা বাপের বাড়িতে কোনও রকম সন্দেহজনক আচরণ তারা লক্ষ্য করেননি। শুধুমাত্র স্ত্রীকে চাকরি করতে বাধা দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে খবর। রেণু খাতুনের বাবার কথায়, ''আসা যাওয়া সবই ঠিক ছিল। ঘটনার দিনও মেয়েকে রাতে বাড়ি নিয়ে গিয়েছে জামাই।'' তারপর পরিকল্পনামাফিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করে মেয়ের বাবা আজিজুল হক।
তিনি মেয়েকে আর কোনওদিন ওই জল্লাদ জামাইয়ের কাছে পাঠাবেন না বলে জানান। অন্যদিকে, মঙ্গলবার কেতুগ্রাম পুলিসের তৎপরতায় গ্রেফতার হয় রেণু খাতুনের শ্বশুর ও শাশুড়ি। কেতুগ্রাম ছেড়ে পালানোর সময় বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। যদিও মূল অভিযুক্ত রেণু খাতুনের স্বামী সরিফুল সেখ ও তার বন্ধুরা এখনো ফেরার। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Mamata In Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে রেলের বিরুদ্ধে তোপ, উদ্বাস্তুদের বড়সড় আশ্বাস মমতার