DYFI-SFI in Amta: রবিবার আমতা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিল ডিওয়াইএফআই, সঙ্গে থাকছে এসএফআই'ও
আনিস খানের ভাইয়ের উপরে হামলা প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখার্জি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাকও দেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামীকাল রবিবার আমতা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিল ডিওয়াইএফআই। তাদের সঙ্গে এই কর্মসূচিতে যোগ দিল এসএফআই'ও। ডিওয়াইএফআই রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আজ, শনিবার বিকেল ৩ টেয় আনিস খানের ভাই প্রাণঘাতী হামলায় আহত সলমন খানকে দেখতে যাওয়া হবে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। এরপর আমতা থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে ঠিক আছে। ডিওয়াইএফআই-এসএফআই মিলিত ভাবে আগামীকাল এই কর্মসূচি পালন করবে। কলকাতাতেও হবে বিক্ষোভ, রয়েছে অবরোধ কর্মসূচিও। আনিস খানের ভাইয়ের উপরে হামলা প্রসঙ্গে শনিবার জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমে মীনাক্ষী মুখার্জি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাকও দেন তিনি। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন-এর প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিতে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Anis Khan: ধারালো অস্ত্রের কোপ, রক্তাক্ত প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই
হাওড়ায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) খুড়তুতো ভাইকে ধারাল অস্ত্রের কোপ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। শুক্রবার রাত ১২.৪৫টা নাগাদ আমতায় বাড়ির সামনেই আক্রান্ত হন বছর ২৪-এর সলমন খান। আনিস খান হত্যাকাণ্ডের মামলায় অন্যতম সাক্ষী এই সলমন খান (Salman Khan)। তাঁকেই আনিসের মৃত্যুর পর থেকে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল। ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই জট কাটতে না কাটতেই এবার আক্রান্ত আনিস খানের ভাই।
শুক্রবার বেশি রাতে বাড়িতে ঢুকে সলমনের উপর হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। তখনই তাঁর উপর অতর্কিতে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। পিছন দিক থেকে মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সলমন খান। তাঁর স্ত্রী চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। সলমনকে বাগনান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আজ, শনিবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সলমনকে।
সলমনের পরিবারের অভিযোগ, আনিস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী হওয়ায় সলমনকে আগেও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। এই নিয়ে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছিল। সলমনের উপর আক্রমণের পরে আবার একবার সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে সরব হয়েছে আনিসের পরিবার। মাস কয়েক আগে আনিস খানের মৃত্যুতে আঙুল উঠেছিল পুলিসের দিকে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। আনিস হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী সলমন। সেই রাতে সলমনই আনিসকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলেন। সেই সাক্ষ্য লোপাট করার জন্য আক্রমণ করা হয়েছে বলে দাবি আনিসের বাবার।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় আনিস খানের। সেই রাতেই আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিস। তাই আনিসের মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি খুন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল পরিবারের তরফে। আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ও সিটের তদন্তে ভরসা রাখে। এই পরিস্থিতিতে সলমন খানের উপর আক্রমণ স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছে তাঁর পরিবার।