Durga Puja 2022 : মহসীনের মহেশতলায় মিতালির দুর্গোৎসব
Chinsurah Durga Puja 2022 : ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আর সেই উৎসবে সব ধর্মের রং মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। শারদ উৎসবকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলা হয়। বর্তমানে বাংলার পুজো ইউনেসকোর স্বীকৃতিও পেয়ো গিয়েছে। এমন এক উৎসবে, সব বাঙালি অংশগ্রহণ না করলে চলে নাকি! পুজোর এই চারটে দিন, ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেয়। বাংলার পুজোর এটাই যেন আসল আমেজ।
Chinsurah, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আর সেই উৎসবে সব ধর্মের রং মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। শারদ উৎসবকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলা হয়। বর্তমানে বাংলার পুজো ইউনেসকোর স্বীকৃতিও পেয়ো গিয়েছে। এমন এক উৎসবে, সব বাঙালি অংশগ্রহণ না করলে চলে নাকি! পুজোর এই চারটে দিন, ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেয়। বাংলার পুজোর এটাই যেন আসল আমেজ। তবে চুঁচুড়ার মহেশতলা যেন সম্প্রীতির এক অনন্য নজির গড়ে তুলেছে। চুঁচুড়ার আনসার,বাদশা,মহসীনরা সরস্বতী পুজো করেন,শিব পুজো করেন। এবার দুর্গাপুজোও করছেন।
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশতলা মিতালি সংঘ এতদিন সরস্বতী পুজো করে এসেছে। শিব পুজোর সময় খুব বড় আয়োজন হয়। ভোগ খাওয়ানো হয় এলাকার সবাইকে। সম্প্রতি শিবের বেদি করা হয়েছে ক্লাবের সামনে। পাড়ায় আশি-নব্বইটা পরিবার সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। তাঁদের একটা আক্ষেপ ছিল পাড়ায় কোনও দুর্গাপুজো হয় না। দুর্গাপুজোর সময় বেপাড়ায় গিয়ে ঠাকুর দেখতে হয়। তাই ক্লাবে মিটিং হল দুর্গাপুজো হবে। পাড়ার সবাই, এমনকি মুসলিম পরিবারের মহিলারাও যোগ দিলেন মিটিং-এ। দু’বছর আগেই দুর্গাপুজো শুরু হত। কিন্তু করোনার জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি। কিন্ত এবার আর কোন বাধা নেই। অবশেষে দুর্গাপুজো হচ্ছে মহেশতলায়। প্রথম বছর পুজো, তাই উন্মাদনাও একটু বেশি।
মিতালি সংঘ ক্লাবের সম্পাদক মহম্মদ আনসার বলেন, আমাদের হিন্দু-মুসলিম বলে কোনো তফাত নেই। আমরা পুজো করব স্থির করি সবার মতামত নিয়েই। পাড়ার কেউ না করেনি। আমার মা নিজে পুজোর জোগার করবেন। পুজোর চার দিন ঢাকের আওয়াজ, ধূপধুনোর গন্ধে ম ম করবে পুজো মণ্ডপ। সেই পরিবেশটাই অন্যরকম লাগে। ক্লাব সদস্য সেখ মহসীন বলেন, পুজোর মাধ্যমে আমরা সবাইকে বার্তা দিতে চাই, আমরা সবাই এক।
আরও পড়ুন : Durga Puja 2022: প্রথম পুজো পুরস্কার, মুখ্যমন্ত্রী অথবা গৌরিবাড়ির গৌরী!
সম্প্রতি পয়গম্বর বিতর্কে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। সেই ঘটনা কখনই কাম্য নয় বলে মনে করেন ক্লাব সদস্যরা। বিনয় পাল বলেন, আমাদের বাড়ির কাছেই ইমামবাড়া। সেখানে মহরমের তাজিয়া বের হয়। সেই তাজিয়াতে আমরা অংশ নিই। এক জায়গায় থাকি। একে অন্যের প্রয়োজনে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। পুজোর পরিকল্পনা হয়েছিল আগেই। সকলে একমত হওয়ার পর এবছর দুর্গাপুজো করছি আমরা। পাড়ার সবাই সাধ্যমতো সাহায্য করছে। আর তা দিয়েই দেবী আরাধনায় আমরা সবাই ব্রতি হয়েছি।