Bolpur Child Murder: শিশু খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির; বোলপুরে বিক্ষোভের মুখে সুকান্ত
প্রতিবেশীর বাড়ি ছাদের চার বছরের শিশুর দেহ! বুধবার বোলপুরে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
প্রসেনজিৎ মালাকার: ব্য়বধান মাত্র ২৪ ঘণ্টার। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর, এবার বোলপুরে নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুকান্ত মজুমদারও। তাঁকে ঘিরে ধরে 'গো-ব্যাক' স্লোগান দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষপর্যন্ত অবশ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে গ্রামে ঢুকতে দিতে রাজি হন বিক্ষোভকারী। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত-সহ বিজেপির পাঁচ প্রতিনিধি।
বোলপুরে কীভাবে খুন হয় গেল চার বছরের শিশু? কারা খুন করল? বিধানসভার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, পুলিসমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। বিধানসভা বাইরে তখন প্ল্যাকার্ড হতে বিক্ষোভ চলছে। শুভেন্দু বলেন,'শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে গ্রেফতার, এসপিকে ক্লোজ করার দাবি করছি এবং সিবিআই তদন্তের দাবি করছি'। শিশু খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে এবার পথে নামল বিজেপি।
এদিন বোলপুরে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্ব দেন দলের রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুপুরে মিছিল যখন নিহত শিশুর গ্রামে পৌঁছয়, তখন চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন? গ্রামে ঢোকার মুখে সুকান্তদর ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে 'গো-ব্যাক' স্লোগানও। এর আগে, গতকাল বুধবার বোলপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপির ৫ জনকে অবশ্য শেষপর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ঘটনাটি ঠিক কী? শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ছিল বছর চারেকের শিবম ঠাকুর। ররিবার সকালে বাড়ি থেকে কাছেই মুদির দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে, কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি! কেন? আশেপাশ খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান পাননি পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় থানায়। অবশেষে গতকাল, মঙ্গলবার এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ছাদ থেকে শিবমের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই শিশুকে অপহরণ করে খুন করেছে প্রতিবেশী রুবি খাতুনই! শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রুবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কেন একাজ করল সে? পুলিস সূত্রে খবর, মোলডাঙা গ্রামেই একটি সেলুন চালান নিহত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর। তাঁর সেলুন কাজ করেন হাবল বাউড়ি। তাঁর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রুবি। এমনকী, দু'জনে নাকি গ্রামে ধরাও পড়ছিলেন!এরপর রুবি চাইলেও, শম্ভুর পরামর্শেই বিয়েতে রাজি হননি হাবুল। সেকারণেই শম্ভুর ছেলে শিবমকে অপহরণ করে খুন।