Booster Dose: মুর্শিদাবাদে প্রথমদিনে টিকাকরণ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের
মাস্ক না পরলেই দিনভর চলল পুলিসি ধরপাকড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আক্রান্তের সংখ্যা তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন মহকুমা হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বহরমপুরের মাতৃ সদন হাসপাতালে যখন নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, তখন করোনার প্রিকশনারি ভ্যাকসিনেশন বা বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়া শুরু হল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। মাস্ক ছাড়া বেরোলেই দিনভর পুলিসি ধরপাকড় চলল বিভিন্ন বাজার ও জনবহুল এলাকায়।
করোনা সংক্রমণের (Covid 19) তৃতীয় ঢেউ-র বেসামাল গোটা দেশ। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে এ রাজ্যেও। কেন্দ্রের ঘোষণা মতো টিকাকরণ (Vaccination) চলছে ১৫-১৮ বছর বয়সীদেরও। এবার শুরু হল করোনা প্রিকশনারি ভ্যাকসিনেশন বা বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়া। মুর্শিদাবাদে কোথায় দেওয়া হল বুস্টার ডোজ? প্রথম দিনে কারাই পেলেন এই বুস্টার ডোজ? এদিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Murshidabad Medical college and Hospital) শুধুমাত্র চিকিৎসক (Doctor) ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরই (Health Wokers) এই টিকা দেওয়া হয়। আগামীকাল, মঙ্গলবার থেকে জেলার আরও ৫ জায়গায় চলবে করোনার প্রিকশনারি ভ্যাকসিনেশন।
আরও পড়ুন: Cororna রোগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে হরিশচন্দ্রপুরের 'মানবিক' পুলিস
মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল জানিয়েছেন, 'বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে, কো-মর্বিটি রয়েছে এবং যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৩৯ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করছি। মঙ্গলবার থেকে বহরমপুরের ৪ পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পুলিস হাসপাতালে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারেও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে'। কত জন পাবেন? আপাতত ২০০ জনের লক্ষ্যমাত্র ধার্য করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কামারপুকুর মঠ ও মিশন
এদিকে মুর্শিদাবাদের যখন হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, তখনও হুঁশ ফেরেনি অনেকেরই। মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন এখনও। কোভিড সচেতনতা বাড়াতে এদিন সকাল থেকে আসরে নামে পুলিস। দিনভর চলে ধরপাকড়। বহরমপুর পুরসভার একাধিক টিমও কাজ করছে শহরের আনাচে-কানাচে। পুরসভার তরফে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বয়ষ্ক মানুষ যাঁরা বাইরে বেরোতে পারছে না, চাইলে তাঁদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।