তৃণমূল কি ভেবেছিল রাজ্যপাল তাদের এজেন্ট হবেন? যাদবপুর ইস্যুতে পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের
রাজ্যপালের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া, বাবুল সু্প্রিয়কে উদ্ধার করা ও তৃণমূলের বিবৃতির প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল কি ভেবেছিল রাজ্যপাল তাদের এজেন্ট হবেন?
রাজ্যপালের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া, বাবুল সু্প্রিয়কে উদ্ধার করা ও তৃণমূলের বিবৃতির প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “তৃণমূল কি ধরে নিয়েছিল রাজ্যপাল তৃণমূলের এজেন্ট হবেন? উনি তো আচার্য। উনি যেতেই পারেন। আমি অমিত শাহকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।”তিনি বলেন, “তৃণমূল ভাবলো কীভাবে! কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে আটকে রাখল আর উনি তা শুনে যাবেন না। উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই তৃণমূল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,''এটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করতে চলে যান রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে অবহিত না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ঘটে বিজেপির ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে।রাজ্য পুলিশ বাইরে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু উপাচার্য সাহায্য না চাওয়ায় তারা ঢুকতে পারে নি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্যপাল রওনা হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।''
মোহন ভাগবতের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম, আরএসএস প্রধানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা উস্তাদ রশিদ খাঁয়ের
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের দাবি, তাঁকে ক্যাম্পাসে না যাওয়ার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারকে একটু সময় দিতে আর্জি জানান। কিন্তু, রাজ্যপাল কোনও কথা না শুনে বিজেপি নেতাকে সাহায্য করতে পৌঁছে যান।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে নালিস জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা তারই কারণ।