'কাঁথির পুর প্রশাসক বদল অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক': দিব্যেন্দু অধিকারী
'যিনি কাউন্সিলর নন, তাঁকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'কাঁথির পুর প্রশাসক বদল অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক।' সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর আক্ষেপ, 'যিনি কাঁথির ভোটার নন, তাঁকে বোর্ড মেম্বার করা হয়েছে। যিনি কাউন্সিলর নন, তাঁকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে। আমি বিদায়ী বোর্ডের কাউন্সিলর ছিলাম। দল চাইলে আমাকে প্রশাসক পদে বসাতে পারত।'
আরও পড়ুন: TMC কর্মীকে মারধরের অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে, উত্তেজনা বর্ধমানে
উল্লেখ্য, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিজেপি-তে (BJP) যোগদানের কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাই সৌমেন্দুকে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বাড়ছে অধিকারী পরিবারের অন্দরে। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) ও এক ভাই দিব্যেন্দু সাংসদ। সোমেন্দুর সঙ্গে তাঁরাও বসতেন কাঁথি পুর ভবনেই। মাঝে মধ্যে শুভেন্দু নিজেও আসতেন পুরসভায়। তাঁরও একটি অফিস ছিল সেখানে। কিন্তু প্রশাসক বদল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে কাঁথি পুরসভার আসছেন না অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। জনংসযোগের কাজের জন্য আলাদা অফিস ভাড়া নিয়েছেন দিব্যেন্দু। সেই অফিসেই বসছেন তিনি। সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রশাসক বদলের প্রতিবাদে আর পুরসভার যাবেন না। দলের কর্মসূচিতেও যাচ্ছেন না। তবে সরকারি কর্মসূচিতে যদি আমন্ত্রণ পান, তাহলে যাবেন।
আরও পড়ুন: Suvendu -র দলবদলে 'না-খুশ' ছোট আঙারিয়া, গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি বক্তারের
পুর প্রশাসকের পদ খোয়ানোর পর বসে নেই অধিকারীর বাড়ির ছোট ছেলে সৌমেন্দুও। সরকারি নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কাঁথির পুরসভার সদ্য অপসারিত প্রশাসকের হুঁশিয়ারি, 'সিদ্ধার্থ মাইতিকে সরিয়ে ফের পুর প্রশাসকের দায়িত্বে বসব।' উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবারই পুর প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন অখিল গিরি ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত সিদ্ধার্থ মাইতি। তাহলে কি আগামীদিনে কাঁথির অধিকারী পরিবারেও পদ্ম ফুটতে চলেছে? দাদার হাত ধরেই বিজেপিতে যাচ্ছেন সৌমেন্দু? জোর জল্পনা চলছে পূর্ব মেদিনীপুরে। যদিও কাঁথির প্রশাসক পদ ইস্যুতে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের নেতা নির্বেদ রায়ের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, 'এটা কাঁথির নিজস্ব ঘটনা। বাইরে থেকে, কলকাতায় বসে মতামত দেওয়া ঠিক নয়।'