Kulpi Death: আচমকাই উধাও যুবক! ভাইফোঁটার দিন বাড়িতে পাওয়া গেল পচাগলা দেহ
কুলপির নিশ্চিন্তপুরে একটি বাড়িতে একাই থাকতেন ওই যুবক। ১৫ দিন ধরে তাকে দেখতে পাচ্ছিলেন না পাড়া-প্রতিবেশীরা।
নকিবুদ্দিন গাজি: প্রায়ই বাড়ির বারান্দায় একটি চেয়ারে বসে থাকতেন। গেলেন কোথায়? পনেরো দিন পর অবশেষে বাড়িতেই পাওয়া গেল যুবকের পচাগলা দেহ! প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুমিত বেরা। বাবা-মায়ের সঙ্গে কার্যত কোনও সম্পর্কই ছিল না! কুলপির নিশ্চিন্তপুরে একটি বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। সুমিতের বাবা-মা থাকেন ডায়মন্ড হারবারে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই দিন দেখতেন বাড়ির বারান্দায় একটি চেয়ারে বয়ে রয়েছেন সুমিত। কখনও আবার বাড়ির কাছেই টোটো স্ট্যান্ডে চালকদের সঙ্গে কথাও বলতেন। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে ওই যুবক দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এদিকে বাড়ি থেকে দুগন্ধ বেরোচ্ছিল। ডায়মন্ড হারবারে সুমিতের বাবাকে খবর দেন প্রতিবেশীরাই। কুলপি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এদিন সকালে যখন দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে পুলিস, তখন ঘরের মেঝেতে সুমিতের পচাগলা দেহ পাওয়া যায়! তখনও ঘরে আলো ও পাখা চালু ছিল! মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয় এখনও। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: Birbhum Death: ঘরেই ঝুলন্ত দেহ! হরিয়ানায় বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারের রহস্যমৃত্যু
এর আগে, হাওড়ায় একটি বাড়িতে বন্ধ ঘরে পাওয়া গিয়েছিল মা ও মেয়ের পচাগলা দেহ। কীভাবে মৃত্যু? হাওড়ার পোদরা সরকার পাড়ার সত্তরোর্ধ্ব বিমলেন্দু মিত্র ও তাঁর স্ত্রী সোমা। ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে অমৃতা বিয়ে করেননি। বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। যেদিন বিমলেন্দু মারা যান, সেদিন তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে শেষবার দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা। পাড়ায় খুব মিশতেন না ওই পরিবারের কেউ। এরপর যখন বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করেন, তখন থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন মা ও মেয়ে।