বেলঘড়িয়ায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু! অভিযোগের আঙুল শ্বশুরবাড়ির দিকে
এমনকী ফেসবুকে সোনালির সাম্প্রতিক পোস্টগুলিতে তার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে হতাশাই দেখা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার সাব ইন্সপেক্টরের স্ত্রী। মৃত্যু হাসপাতালে। চাঞ্চল্য বেলঘড়িয়ায়। আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী। দাবি হেয়ার স্ট্রিট থানার SI সুরজিত্ রায়ের পরিবারের। পাল্টা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধেই অভিযোগ মৃতা সোনালি রায়ের পরিবারের। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন পুলিস আধিকারিক।
রথতলার কামারহাটির বাসিন্দা সোনালির বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। পাত্র হেয়ারস্ট্রিট থানার SI সুরজিত্ রায়। দাম্পত্য সুখের হয়নি। যদিও পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁদের। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। ফেসবুক পোস্টেও তার ছাপ পড়েছিল। শুক্রবার, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সোনালি রায়কে উদ্ধার করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সোনালিকে। শনিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার দাবি করে সোনালির শ্বশুরবাড়ি। যদিও সোনালির বাপের বাড়ির দাবি, মিথ্যে কথা। পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ নিতে গরিমসি করছে পুলিস। এমনকি ময়নাতদন্তেও গরিমসি করা হচ্ছে। প্রভাব খাটাচ্ছেন অভিযুক্ত SI। অভিযোগ পরিবারের। মারধর করা হত সোনালিকে। দাবি সোনালির মা, বোনের।
আরও পড়ুন - রবিবার বেলুড়মঠ ও দক্ষিণেশ্বর ঘুরে এলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার রথতলার কামারহাটির বাসিন্দা সুরজিৎ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনালি দাসের। হেয়ার স্ট্রিট থানার সাব ইন্সপেক্টর সুরজিৎ রায়। বেলঘড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ না আনলেও মৃত সোনালি রায়ের মা এবং বোন জানিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরেই গঞ্জনা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন সোনালি। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকর্মী সুরজিৎ রায় অবশ্য স্ত্রীর আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এমনকী ফেসবুকে সোনালির সাম্প্রতিক পোস্টগুলিতে তার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে হতাশাই দেখা গিয়েছে। তদন্তের আর্জি জানিয়ে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের SI-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবছে পরিবার। তাঁদের দাবি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। সোনালির ছেলেকে তাঁদের কাছে রাখতে চাইছেন, তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে হয়ত তাকেও খুন করা হতে পারে।