তল্লাসির নামে ডাকাতি, সিআইডির জালে ভুয়ো পুলিস
ওয়েব ডেস্ক: পুলিস পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে তল্লাসির নামে ডাকাতি। এটাই এখন নয়া ক্রাইম প্যাটার্ন। তদন্তে নেমে দক্ষিণবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে সিআইডির হাতে গ্রেফতার পাঁচ জন। ধরা না পড়লে সাঁকরাইলে পরের অপারেশনের ব্লু প্রিন্টও তৈরি ছিল ভুয়ো পুলিস গ্যাংয়ের।
এখন হাতে হাতকড়া। অথচ এরাই কয়েক দিন আগেও লোকজনের বাড়ি বাড়ি ঢুকে পুলিস পরিচয় দিয়ে হুমকি দিত।
ভুয়ো পুলিসের কীর্তি। তল্লাসির নামে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি! দুষ্কৃতীদের নয়া কৌশল, ভুয়ো পুলিস সেজে অপারেশন। মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এধরনের অপরাধ বাড়ছিল। তদন্তে নেমে CID-র হাতে গ্রেফতার ৫ জনের 'ভুয়ো' পুলিস দল। ধৃতদের বিরুদ্ধে আড়াই লক্ষ টাকারও বেশি লুঠের অভিযোগ রয়েছে। উলুবেড়িয়া, ধুলাগড়, তারকেশ্বর, বারাসত সহ একাধিক জায়গায় তল্লাসি চালায় CID। ধৃতেরা হল অমিয় চক্রবর্তী, শেখ আশরাফ, কৃষ্ণপদ শর্মা, জগন্নাথ রায় এবং প্রদীপ পাহাড়ি। বিকাশ ওরফে জগন্নাথ রায় ও প্রদীপ পাহাড়ির কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের টাকাও উদ্ধার হয়।
গত সপ্তাহেই বসিরহাটে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই পরিচয়ে ঢুকে কোটি টাকা লুঠ করার অভিযোগ ওঠে। ধৃত ৫ জনের বসিরহাট কাণ্ডের সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে জগন্নাথ রায় ওরফে বিকাশের তারকেশ্বরের বাড়িতে পৌছে যাই আমরা। মাটির ঘর। প্লাস্টিক-ত্রিপল চাপানো। দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। বৈদ্যপুরের এই বাড়িটিই জগন্নাথের। পরিবারের দাবি, ছেলে কী কাজ করত তা জানাই ছিল না তাঁদের। বাড়িতে কোনও টাকা দিত না জগন্নাথ।
জগন্নাথ কারোর সঙ্গেই বিশেষ মেলামেশা করত না বলে জানিয়েছে পাড়া প্রতিবেশীরা। গ্রেফতারির পর তাকে নিয়ে তারকেশ্বরের বাড়িতেও যায় সিআইডি। সেখান থেকে কাগজপত্র সহ বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়।