আজ মধ্যরাতেই আছড়ে পড়বে বুলবুল, ভোর থেকেই ঝোড়ো হাওয়া-বৃষ্টি, মোকাবিলায় বজ্রআঁটুনি প্রশাসনও
দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুরের সৈকতে এদিন সকাল থেকেই চলছে নজরদারি। সতর্কতা জারি হয়েছে বকখালিতেও। পর্যটকদের সমুদ্রের পাড় থেকে দূরে থাকার আর্জি জানাচ্ছে প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদন: আকাশে অশনি সঙ্কেত। ধেয়ে আসছে বুলবুল। দুর্যোগ ঠেকাতে আগে থেকেই আটঘাঁট বেঁধেছে প্রশাসন। তৈরি কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। সুন্দরবনে বাড়তি নজর থাকলেও সতর্কতা বেড়েছে দিঘা থেকে কলকাতা, সর্বত্র।
শনিবার মধ্যরাতে ভারত-বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে বুলবুল। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকেই তুমুল তত্পরতা সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানায়। সতর্ক করা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। চলছে মাইকিং। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় দ্রুত মত্স্যজীবীদের ঘরে ফেরানো হচ্ছে। সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- রাজনীতির বোড়ে না শহিদ? বিতর্কের মাঝে রাম মন্দিরের চাইছে কোঠারি পরিবার
দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুরের সৈকতে এদিন সকাল থেকেই চলছে নজরদারি। সতর্কতা জারি হয়েছে বকখালিতেও। পর্যটকদের সমুদ্রের পাড় থেকে দূরে থাকার আর্জি জানাচ্ছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে অনেক পর্যটকই দিঘা থেকে ফিরে আসছেন। ফণির মতোই বুলবুলকে ঠেকাতে তৈরি প্রশাসন। আশ্বাস দিচ্ছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিপর্যয় ঠেকাতে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। উপকূলবর্তী এলাকায়। এদিন থেকেই দাপুটে হাওয়া বইছে। আকাশের মুখ ভার। দুর্যোগ আসন্ন। তবে ঝড় ঠেকাতে প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছে না প্রশাসন।