আমফানের দাপটে ভেঙে পড়ল হুগলি ইমামবাড়ার পিতলের চূড়া

শিয়া গোষ্ঠীর মহরম পালনের জন্য ইমামবাড়া বিখ্যাত। অপূর্ব সুন্দর এই স্থাপত্যের সৌন্দর্যই হল বিখ্যাত টাওয়ার ক্লক, যেটি কেরামত আলি লন্ডন থেকে কিনে এনেছিলেন

Updated By: May 23, 2020, 09:21 PM IST
আমফানের দাপটে ভেঙে পড়ল হুগলি ইমামবাড়ার পিতলের চূড়া

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাইক্লোন আমফান থেকে রেহাই পেল না হুগলির ঐতিহাসিক ইমামবাড়া।

আমফান নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে এই স্থাপত্যকে। ইমামবাড়ার পিছন দিক অর্থাৎ উত্তরদিক দিয়ে বয়ে গেছে ভাগিরথী বা হুগলি নদী। ঘূর্নিঝড় সেদিক থেকে সোজা এসে আছড়ে পড়ে ইমামবাড়ায়। ভেঙে পড়ে পূর্বদিকের পিতলের চূড়া।

আরও পড়ুন-করোনাভাইরাস পুরুষ নাকি স্ত্রী? দড়ি টানাটানি করছে ফরাসীরা

আগেই হেরিটেজ ঘোষণা হয়েছে হাজি মহম্মদ মহসীনের স্মৃতি বিজড়িত ইমামবাড়ার। সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। হুগলি চুঁচু্ড়া শহরবাসী থেকে পর্যটকরাও চান গম্বুজ ফিরে আসুক আবার আগের অবস্থা ফিরে পাক ঐতিহাসিক ইমামবাড়া।

হুগলি জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপত্য ইমামবাড়া। প্রায় ১৮০ বছর প্রাচীন এই স্থাপত্য দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন যায়গা থেকে পর্যটকদের ভীড় জমান। ১৮৪১ সালে হাজি মহম্মদ মহসীন ইমামবাড়া নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কুড়ি বছর লেগেছিল এটি সম্পূর্ণ করতে।ইমামাদের থাকার জায়গা ছিল বলে এর নাম ইমামবাড়া।

আরও পড়ুন-'কেউ কেউ উসকাচ্ছে, প্ররোচিত হবেন না, আমাদের শান্তিতে কাজটা করতে দিন'

ইসলামের শিয়া গোষ্ঠীর মহরম পালনের জন্য ইমামবাড়া বিখ্যাত। অপূর্ব সুন্দর এই স্থাপত্যের সৌন্দর্যই হল বিখ্যাত টাওয়ার ক্লক, যেটি কেরামত আলি লন্ডন থেকে কিনে এনেছিলেন।১৫০ ফুট উচ্চতার  টাওয়ার ক্লকের দুই দিকের দুটি গম্বুজ ও তার মাথার পিতলের চূড়া। এই পিতলের চূড়ায় যখন অস্তমিত সূর্যের আলো পড়ে তখন সোনালী আলোয় চকচক করে এই চূড়া দুটি। শহরের বহু দুর থেকে দেখা মেলে এই দুই চূড়ার। অনেক ঝড়ঝঞ্জা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই স্থাপত্য ছিল অটল। এবার হার মানল। ছবি -বিধান সরকার

.