Purulia: এই ঘোর বর্ষাতেও খোলা আকাশের নীচেই পঠনপাঠন! নেই শৌচালয়, নেই রান্নাঘর...
Purulia: গ্রীষ্মে প্রচণ্ড দাবদাহ, শীতে প্রচন্ড ঠান্ডা। তবে ভরা বর্ষায় বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চালাতে খুবই সমস্যায় পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয় খুদে পড়ুয়াদেরও। তবুও বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে এই স্কুল।
মনোরঞ্জন মিশ্র: শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা খোলা আকাশই ভরসা। সারা বছরই এই স্কুলের পঠনপাঠন খোলা আকাশের নীচে। নেই কোনও বিদ্যালয়ভবন, নেই কোনও শৌচালয়, নেই রান্নাঘরও! স্কুলে সারা বছরই সমস্যা থাকে। শীতে-গ্রীষ্মেও সমস্যা এক। গ্রীষ্মে প্রচণ্ড দাবদাহ, শীতে প্রচন্ড ঠান্ডা। তবে ভরা বর্ষায় বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চালাতে খুবই সমস্যায় পড়েন শিক্ষক শিক্ষিকারা। পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয় খুদে পড়ুয়াদেরও। তবুও বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে এই স্কুল। পুরুলিয়ার মানবাজার ১ ব্লকের বনমহড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবি। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে রয়েছে ৬৭ জন পড়ুয়া, রয়েছেন দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন; Malbazar: নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাস ছোবল মারছে বাঁধে! অতি বৃষ্টি কি ডেকে আনছে ভয়াবহ কোনও বন্যা?
২০১৪ সালে এই গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় ভবনের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা ও কিচেনশেডের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু জমি-জটিলতার কারণে তখন স্কুলভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।
তাছাড়া অন্য সমস্যাও ছিল। বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক প্রণব মণ্ডল বিদ্যালয়ভবন ও কিচেনশেড তৈরির কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও হন তিনি। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। কিন্তু তার পর থেকে বিদ্যালয়ভবন তৈরির বিষয়টি অথৈ জলেই।
আরও পড়ুন; Malbazar: এলাকায় উপদ্রব ছিলই, এবার বুনো হাতির হামলায় মৃত্যু মহিলার...
এদিকে, ভরা বর্ষায় বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়কে সঙ্গী করেই গাছের নীচে চলছে পঠনপাঠন। রান্না হয় কোনও রকমে ত্রিপল খাটিয়ে। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গ্রামবাসীদের দাবি, বিদ্যালয়ে যথাযথ পরিকাঠামো গড়ে উঠুক। এগিয়ে আসুক শিক্ষা দফতর। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক রাজীব লোচন সরেন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এভাবে আর কতদিন?