Student Fell From Building: যত কাণ্ড মাসির বাড়িতেই! ২১ তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ল দশম শ্রেণির ছাত্র
এদিন দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর সবার লক্ষ্য পড়ে ঘরে নেই আনন্দ। তখনই খোঁজ শুরু হয়ে যায়। তারপরই দেখা যায় বিল্ডিংটির নিচে পড়ে রয়েছে আনন্দের নিথর দেহ।
দেবব্রত ঘোষ: কলকাতায় মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি। বহুতলে মাসির বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হল বেলুড়ের এক কিশোরের। কিন্তু কীভাবে সেখান থেকে কিশোর পড়ে গেল তা নিয়ে খোঁজ করছে পুলিস।
জানা গেছে, বেলুড়ের অভয় গুহ রোডের বাসিন্দা ওই কিশোর শুক্রবার কলকাতার তোপসিয়ায় আসে মাসির বাড়িতে। সেখানে সকলের অলক্ষ্যেই বাইরের বারান্দায় চলে যায় ওই কিশোর বলে খবর। আনন্দ উপাধ্যায় নামে ওই কিশোর ডন বসকো স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া বলে জানিয়েছে পুলিস। এদিন, ওই মাসির বাড়িতে আনন্দ ছাড়াও, হাজির ছিলেন তার অন্যান্য আত্মীরা।
পরিবারের তরফে পুলিসকে জানানো হয়েছে, দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর সবার লক্ষ্য পড়ে ঘরে নেই আনন্দ। তখনই খোঁজ শুরু হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত দেখা যায় বহুতলের নীচে পড়ে রয়েছে আনন্দের দেহ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তোপসিয়ার ওই ২১তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে গেল আনন্দ। এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আনন্দের বাবা লোহার ব্যবসায়ী। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বছর দেড়েক আগে ব্রেন টিউমার অপারেশন হয় আনন্দের।
ওই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
মৃতের এক মাসতুতো দাদা জানান, দুবছর ধরে তাঁরা এই আবাসনে রয়েছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আনন্দ, তাঁর মা এবং ভাই আসে তাদের বাড়িতে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে। সুইমিংও করতে যায়। এরপর বিকেলের দিকে, আনন্দ এর মা, আনন্দকে বলে বাড়ি যাওয়ার জন্যে।
হাতে আর বেশি সময় নেই। টিউশনি পড়া আছে, বাড়িতে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় যায় আনন্দের।
সে মা কে বলে, ঠিক আছে তুমি উবার বুক করে দাও, আমরা চলে যাব।
মৃত কিশোরের মাসতুতো দাদা, আরও জানান, মাকে ওই কথা বলার পরই রেগেমেগে ওই কিশোর অন্য রুমে চলে যায়। তাঁর মা এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্যরুমে ছিলেন। এরপর বিকেল ৫টা ৪০মিনিট নাগাদ, ২১ তলার কমন প্যাসেজ থেকে কিছু একটা পড়ার ভারি আওয়াজ শোনা যায়। গিয়ে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আনন্দ।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে টাংরা থানার পুলিশ। আবাসন চত্বরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ঘেঁটে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। একই সঙ্গে আবাসনের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।