Digital Arrest: ডিজিটাল অ্যারেস্ট, সতর্ক হোন এভাবেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা
Digital Arrest: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২-২৩ সালে দেশজুড়ে ৬৬৫৯টি সাইবার জালয়াতির ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর অগাস্ট পর্যন্ত সাইবার জালিয়াতির ২৫,০০০ এর বেশি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিয়াল ব্য়ুরো: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আচমকাই চলে গেল বিপুল টাকা। আপনি যখন বুঝতে পারলেন তখন হয়তো অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। তার পর এ দরজা, ও দরজায় দৌড়। কোনও কুলকিনারা আপনি পাচ্ছেন না। এটা এক ধরনের জালিয়াতি। অন্য আরও এক ধরনের জালিয়াতি আজকাল হচ্ছে। একে বলা হচ্ছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট। এর মাধ্যামে শুধুমাত্র ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে জালিয়াতরা। কিন্তু কীভাবে?
আরও পড়ুন-জোর ধাক্কা রাজ্যপালের, ২১ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সম্প্রতি গুপ্তিপাড়ায় এক মহিলা এরকম জালিয়াতের খপ্পরে পড়েন। তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, একটি ক্যুরিয়ার কেম্পানি থেকে বলছি। আপনার একটি পার্সেল কাস্টমস আটকেছে। পাশাপাশি ওই মহিলার আধার নম্বর দিয়ে বলা হয় তাঁর আধার কাজে লাগিয়ে বেআইনি লেনদেন হয়েছে। এরকম বলতে বলতেই কলটি মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ট্রান্সফার করা হয়। দেখা যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের লোগো দেওয়া একটি জায়গায় এক ব্যক্তি বসে রয়েছেন। তিনি ওই মহিলাকে বলেন তাঁর আধার নম্বর দিয়ে বিপুল টাকা প্রতারণা করা হয়েছে।
তথাকথিকত ক্রাইম ব্রাঞ্চের ওই অফিসার বলেন, তিনি যে অর্থ তছরূপ করেছেন তা পরীক্ষা করার জন্য টাকা প্রয়োজন। এভাবেই গুপ্তিপাড়ার ওই মহিলার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে দেন প্রতারকরা। ভয় দেখিয়ে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেতাকেই বলে ডিজিটাল অ্যরেস্ট। জালিয়াতরা আমজনতাকে এভাবে বিভ্রান্ত করে থাকে। তারা নিজেদের পুলিস বা গোয়েন্দা সংস্থার কর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। ভুল তথ্য দিয়ে তারা কঠোর আইনি পদক্ষেপের ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২-২৩ সালে দেশজুড়ে ৬৬৫৯টি সাইবার জালয়াতির ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর অগাস্ট পর্যন্ত সাইবার জালিয়াতির ২৫,০০০ এর বেশি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। যেখানে ২০২২ সালের অগাস্ট পর্যন্ত ৮,০০০ ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল।
এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে কী করবেন
যাচাই করে দেখুন কে আপনাকে ফোন করেছে। ঘাবড়ে যাবেন না।
কেউ নিজেকে পুলিসের আধিকারিক বলে পরিচয় দিলে তাঁর পরিচয়পত্র জানতে চান।
বুঝে দেখুন এরকম কিছু ঘটলে কেউ আপানাকে ফোন করবে না। এরকম কিছু হলে আপনার থানায় যোগাযোগ করুন।
ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কোনও তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। কোনও গোলমাল দেখলেই পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)