Chalsa: ঘর ভেঙে দিল হাতি; ক্ষতিপূরণ এবং রাতে টহলদারির দাবি স্থানীয়দের
ভোরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকারে হাতিটি জঙ্গলে চলে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে এলাকায় হাতি এলেও বনকর্মীরা আসেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতির হানায় ভাঙল দুটি ঘর। পালিয়ে কোনওরকম প্রাণে বেঁচেছেন বাড়ির লোকজন। পৃথকভাবে দুই জায়গায় হানা দিয়ে দুটি ঘর ভেঙে দেয় বুনো হাতি। পাশাপাশি সাবাড় করেছে ঘরে মজুত খাদ্যদ্রব্য। আসবাবপত্রও নষ্ট করেছে। ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পাশাপাশি রাতে এলাকা টহলদারির দাবিও জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মালবাজার মহকুমার চালসা সংলগ্ন গৌরীগাঁও এলাকার দেবী রাই-এর ঘর ভেঙে দেয় হাতি। এরপর হাতিটি চলে যায় সংলগ্ন কিলকোট চা-বাগানের ৫ নম্বর লাইনে। সেখানে রঞ্জিত ওরাওঁ-এর ঘর গুঁড়িয়ে দেয় এটি। ভোরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকারে হাতিটি জঙ্গলে চলে যায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে এলাকায় হাতি এলেও বনকর্মীরা আসেননি। যাবতীয় ক্ষতিপূরণ-সহ রাতে এলাকায় বনকর্মীদের টহলদারিও দাবি করেন বাসিন্দারা। বন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, নিদিষ্ট ফর্মে আবেদন করলে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পাশে দাঁড়াল পঞ্চায়েত ও মেটেলি ব্লক প্রশাসন। গৌরীগাঁও এলাকার দেবী রাই-এর ঘর হাতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে এই খবর পেয়ে এদিন তাঁর বাড়ি পরিদর্শনে যান এলাকার পঞ্চায়েতের সদস্যা সরিতা থাপা। তিনি বিষয়টি জানান প্রধান দীপক ভুজেলকে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটিকে ব্লক প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সদস্যা সরিতা রাই জানান, আমরা হাতির হানার বিষয়টি প্রধান ও বিডিও-কে জানাই। ওই পরিবারের হাতে প্রশাসনের তরফে কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ICDS Worker Rally: ২২ দফা দাবি, স্মারকলিপি জমা দিলেন অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকারা