তিরিশ ঘণ্টা পেরিয়েও বিজিবি-র হাতে আটক জলঙ্গির প্রণব, স্বামীর অপেক্ষায় ঘণ্টা গুনছে স্ত্রী
জলঙ্গির চর পাইকমারিতে মাছ ধরার সময় আরও ২ মৎস্যজীবীর সঙ্গে প্রণব মণ্ডলকেও আটক করেছিল বিজিবি। তারমধ্যে দুজনকে ছেড়ে দিলেও এখনও প্রণব মণ্ডলকে ছাড়েনি বিজিবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তিরিশ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসের হাতে আটক হয়ে রয়েছেন জলঙ্গির মৎস্যজীবী প্রণব মণ্ডল। গতকাল জলঙ্গির চর পাইকমারিতে মাছ ধরার সময় আরও ২ মৎস্যজীবীর সঙ্গে প্রণব মণ্ডলকেও আটক করেছিল বিজিবি। তারমধ্যে দুজনকে ছেড়ে দিলেও এখনও প্রণব মণ্ডলকে ছাড়েনি বিজিবি। দিনভর উৎকণ্ঠার মধ্যে প্রহর গুনছে প্রণব মণ্ডলের পরিবার। বার বার বিএসএফ-এর কাছে গিয়েও কোনও উত্তর মেলেনি। সূত্রের খবর, বিজিবি-র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং না হওয়া পর্যন্ত প্রণব মণ্ডলের ফেরার সম্ভাবনা নেই।
মাটির দাওয়াই স্বামীর অপেক্ষায় ঠায় বসে স্ত্রী। সেই গতকাল সকালে মাছ ধরতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর যে কী হল? ঘরের মানুষ এখনও ঘরে ফিরল না। উৎকণ্ঠায় ঘণ্টা গুনছে পরিবার। জলঙ্গির সাহেবনগরের বাসিন্দা প্রণব মণ্ডল। আটক হয়ে থাকা মৎস্যজীবীর এক প্রতিবেশী বলেন,"বিকাশ, অচিন্ত্য ও প্রণব তিনজনে মিলে পদ্মায় মাছ ধরতে যায়। এক নৌকায় ছিল ওরা তিনজন। মাঝ নদী থেকে ওদের ধরে নিয়ে চলে যায়।"
তিনজনের মধ্যে দুজন ফিরে এলেও প্রণব মণ্ডল কখন ফিরবেন, তা নিয়ে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি বিএসএফ-এর কাছে। সময় যত যাচ্ছে, ততই উৎকণ্ঠা বাড়ছে। বাড়ছে দুশ্চিন্তা। বিএসএফ সূত্রে খবর, আজও বিজিবি-র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ফ্ল্যাগ মিটিং হয়নি। ফ্ল্যাগ মিটিং হলেই পর্যন্ত প্রণব মণ্ডলের ফেরা নিয়ে সমাধান সূত্র মিলবে বলে আশাবাদী বিএসএফ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির চর পাইকমারিতে মাছ ধরতে যান ৩ ভারতীয় মৎস্যজীবী। সেইসময় জিরো পয়েন্ট থেকে প্রণব, বিকাশ, অচিন্ত্য তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় বিজিবি। সঙ্গে সঙ্গেই মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে যায় বিএসএফ। অভিযোগ, বিকাশ ও অচিন্ত্যকে বিএসএফ-এর হাতে ছেড়ে দিলেও প্রণব মণ্ডলকে আটকে রাখে বিজিবি।
আরও পড়ুন, দেবাঞ্জনকে খুনের পর দুদিন বাড়িতেই ছিল প্রিন্স, খোঁজও করেনি পুলিস, সাফ জানাল অভিযুক্তের দাদা
আর তারপর দুই মৎস্যজীবীকে নিয়ে বিএসএফরা ফিরতেই পিছন থেকে তাঁদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিজিবি। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজয় ভান নামে এক বিএসএফ জওয়ানের। মাথায় গুলি লাগে বিজয়ের। আহত হন রাজবীর সিং নামে এক বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল।