হাওড়ার সলপে আক্রান্ত BJP কর্মীরা, মারধরের অভিযোগ উঠল TMC-র বিরুদ্ধে

ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।

Updated By: Jan 31, 2021, 07:44 PM IST
হাওড়ার সলপে আক্রান্ত BJP কর্মীরা, মারধরের অভিযোগ উঠল TMC-র বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ডুমুরজলার সভা থেকে ফেরার পথে 'আক্রান্ত' বিজেপি (BJP) কর্মীরা। মারধর ও বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ২ জন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল সলপে। এদিকে স্থানীয় দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের (TMC) যে পার্টি অফিসে বসতেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) অনুগামীরা, সেই পার্টি অফিসটির দখল নিল মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy) অনুগামীরা। প্রাক্তন বিধায়কের দলবদলের পর রাজনীতির পারদ চড়ছে হাওড়ার ডোমজুড়ে।

সশরীরে হাজির হতে পারেননি। ভার্চুয়ালি ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) প্রশ্ন, 'গরিবের প্রতি এত অন্যায় কেন করলেন দিদি'? বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ও (Rajib Banerjee)। এই হাইভোল্টেজ সভা শেষ হতেই বিজেপি (BJP) কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল ডোমজুড়ের সলপে।

আরও পড়ুন: দিন ঘোষণা না হতেই বীরভূমে দেওয়াল লিখন শুরু TMC, BJP-র

জানা গিয়েছে, ডুমুরজলার সভা শেষে যখন বাড়ি ফিরছিলেন  বিজেপি কর্মীরা, তখন বাঁকুড়া এলাকায় এক মিছিল বের করেছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ, সেই মিছিল থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলা চালান শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। বেধড়ক মারধরের পর বেশ কয়েকটি বাইকে ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় দু'জন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সবং

এদিকে আবার সলপের ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় ওই মিছিলটি শেষ হওয়ার পর দলের একটি পার্টি অফিসের দখল নেন তৃণমূলকর্মীরাই। ওই পার্টি অফিসেই বসতেন রাজীব অনুগামীরা। পার্টি অফিসটি দখল করলেন মন্ত্রী অরূপ রায়ের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি,  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড়ের ভূমিপুত্র নন। গুন্ডা-তোলাবাজদের নিয়ে পার্টি চালাচ্ছিলেন তিনি। পার্টি অফিসটি পবিত্র করা হবে। 

.