মমতার মুখ মানুষ চায় না: স্বপন, করলার নাম বদলালেই মিষ্টি হয়ে যায় না: মান্নান
"উনি স্লোগান পরিবর্তন করছেন। সেলসম্যানরা যেমন প্রোডাক্ট বিক্রি না হলে নাম পরিবর্তন করেন, ব্যাপারটা ঠিক ওইরকম।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : "কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রোজেক্ট করতেই পারে, কিন্তু বাংলার মানুষ আর মমতার মুখ চায় না।" বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া নির্বাচনী স্লোগান 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়'-কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য়সভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলের নয়া স্লোগানকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও। তিনি বলেন, "করলার যতই নাম দেন না কেন, মিষ্টি কোনওদিন-ই হবে না।"
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের নতুন স্লোগান তুলেছে ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনে জিতলে 'বাংলার ভূমিপুত্রই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন', বিজেপির এই প্রতিশ্রুতির পাল্টা স্লোগান নিয়ে এসেছে তৃণমূল। 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়', এই নয়া স্লোগানে পোস্টারও তৈরি করেছে শাসকদল। আজই দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্লোগানের উদ্বোধন করা হয়।
এখন তৃণমূলের এই নয়া স্লোগান-পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, "বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেয়নি ঠিকই, আমাদের লড়াই ইস্যুভিত্তিক। আমরা সুস্থ সরকার দেব। দুর্নীতিমুক্ত সরকার দেব। তৃণমূল তাদের মত বলতেই পারে। কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রোজেক্ট করতেই পারে। তবে বাংলার মানুষ মমতার মুখ আর চায় না। আমাদের আদর্শ মোদী।"প্রসঙ্গত, আজ ৩ দফা দাবিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত ও শিশির বাজোরিয়া। এক, সরকারি নয় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পোলিং অফিসার করা হচ্ছে, এটা করা যাবে না। দুই, স্পর্শকাতর ও গন্ডগোল প্রবণ এলাকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি করতে হবে। তিন, পোস্টাল ব্যালটের সুরক্ষা যেন থাকে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে এই তিন দাবি জানান বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই তৃণমূলের নয়া স্লোগানকে কটাক্ষ করে পাল্টা মন্তব্য করেন স্বপন দাশগুপ্ত।
অন্যদিকে, বীরভূমের বোলপুরের শিবপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান কটাক্ষ করেন, করলার নাম পাল্টালেই তা মিষ্টি হয়ে যায় না। তিনি বলেন, "ওনার স্লোগান চলছে না, তাই নাম পাল্টাছে। মানুষ ভেবে নিয়েছে যে সরকার এবার বদল হচ্ছে। তাই উনি স্লোগান পরিবর্তন করছেন। সেলসম্যানরা যেমন প্রোডাক্ট বিক্রি না হলে নাম পরিবর্তন করেন, ব্যাপারটা ঠিক ওইরকম। একটা কথা-ই বলতে হয় যে, করলার নাম পরিবর্তন হয়ে গেলেই, করলা মিষ্টি হয়ে যায় না। করলার যতই নাম দেন না কেন, মিষ্টি কোনওদিন-ই হবে না।"
আরও পড়ুন, নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু,'মানুষ ভালভাবে ভোট দিন', আশ্বাস কেন্দ্রীয়বাহিনীর