তৃণমূল বিধায়ক খুনের ঘটনায় ভবানী ভবনে ফের ম্যারাথন জেরা বিজেপি সাংসদকে
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ভরা সভায় গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নিজেরই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হয়েছেন সত্যজিত বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবারের পর রবিবার। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ভবানী ভবনে ডেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল কিনা, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ এই নিয়ে পরপর দুদিন ভবানী ভবনে হাজিরা দিলেন। সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় তৃণমূল রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে বিজেপির লোকজনকে ফাঁসাচ্ছে। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্ট জগন্নাথ সরকারকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন-২০০২ সালে সার্স-মহামারীকেও ছাপিয়ে গেল নোভেল করোনা, কড়া সতর্কবার্তা হু-র
সত্যজিত্ খুনে সিআইডির গোয়েন্দারা জগন্নাথ সরকারকে চারদিন চার ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। আজ দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন জানিয়ে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, পুরভোটের দিকে তাকিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ভরা সভায় গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস। বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নিজেরই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হয়েছেন সত্যজিত বিশ্বাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সত্যজিতের মাথায় গুলি করে আততায়ীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, রীতিমতো ছক কষেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার পরই অভিজিত্ পুন্ডারি নামের একজনকে আটক করে পুলিস। সত্যজিত বিশ্বাস খুনের পর শনিবার রাতেই অভিজিতের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকার মানুষজন।
ঘটনার রাত থেকেই ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমেপড়ে পুলিস। বিধায়ক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল নামের এই দুজনকে ম্যারাথন জেরা করে পুলিস। ঘটনাস্থলের প্রায় একশো মিটার দূর থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আততায়ীর খোঁজে স্থানীয় বাসিন্দাদের মোবাইল ফুটেজও ভরসা করে পুলিস।
আরও পড়ুন-কেরোসিনের লম্ফ থেকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন, ফাঁকা বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু দুই শিশু কন্যার
পাড়ার সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান বলে এদিন স্থানীয় বহু মানুষ মোবাইলে ছবি তুলছিলেন। কেউ কেউ আবার অনুষ্ঠানের মুহূর্ত ভিডিও করে রেখেছেন। সেইসব ছবি বা ভিডিও থেকেও তদন্তে সহায়তা করার মতো কোনও ফুটেজ পাওয়া যায় কি না তাও দেখছে পুলিস। খুনের ধরণ ও পারিপার্শ্বিক ঘটনা দেখে পরিকল্পনা মাফিক খুন বলেই মনে করা হচ্ছিল। একই বক্তব্য স্থানীয়দেরও। এদিন অনুষ্ঠানের মাঝে বারবার লোড শেডিং হচ্ছিল। স্থানীয় মানুষের একাংশের দাবি, ষড়যন্ত্র করেই এমনটা করা হচ্ছিল। যাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অনায়াসে অপারেশন চালানো যায়!