BJP Leader Death: খুন হয়েছেন বিজেপি নেতা, এফআইআর-এ দাবি বাবার
গতকাল কল্যাণীর একটি হোটেলে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ধোনেখালি মন্ডল দুইয়ের সভাপতি সুদীপ ঘোষের। পুলিস মারফত খবর পেয়ে তার পরিবার এবং বিজেপির হুগলি জেলা নেতৃত্ব কল্যাণীতে পৌঁছে যা ন।জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় শনিবারই।
বিধান সরকার: ছেলেকে খুন করা হয়েছে এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধনিয়াখালির বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষের বাবা সুফল চন্দ্র ঘোষ।
গতকাল কল্যাণীর একটি হোটেলে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ধোনেখালি মন্ডল দুইয়ের সভাপতি সুদীপ ঘোষের। পুলিস মারফত খবর পেয়ে তার পরিবার এবং বিজেপির হুগলি জেলা নেতৃত্ব কল্যাণীতে পৌঁছে যা ন।জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় শনিবারই।
আরও পড়ুন: Malbazar: মালবাজারের চা-বাগান থেকে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার...
বিজেপি নেতার বাবা কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ছেলেকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। হোটেলের ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর মর্গে পাঠানো হয়। সুদীপের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ পত্রে লিখেছেন তিনি। রাত দুটোর সময় সুদীপের মৃতদেহ দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় বলে হোটেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এতে রহস্য রয়েছে বলে দাবী করেছেন বিজেপি হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার। রাত দুটোর হোটেল কর্মীরা কী করে জানল ঘরের ভিতর সুদীপ গলায় দরি দিয়েছে? পুলিস আসার আগেই তারা মৃতদেহ নামিয়ে ফেলে কেন বলেও প্রশ্ন তোলা হয়। পুলিসের কাছে হোটেলের সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান বিজেপি সভাপতি।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: সোম থেকে বুধ ভারী বৃষ্টি, তাপমাত্রার পরিবর্তন নেই মহানগরে
সম্প্রতি হুগলিতে সাংগঠনিক পদে রদবদল হয়। পুরনো মন্ডল সভাপতিদের সরিয়ে নতুন মন্ডল সভাপতি করা হয়। সুদীপ ঘোষকে করা হয় ধনিয়াখালি-২ এর সভাপতি। গত চার তারিখ চুঁচুড়ায় বিজেপির হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে কার্যকারিনী বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। বিজেপি নেতা তিন তারিখ বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। মাকে ফোনে বলেছিলেন মগড়ায় আছেন, পাঁচ তারিখ সকালে ফিরবেন। কিন্তু পাঁচ তারিখ তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় কল্যাণীর হোটেল থেকে। হোটেলের ঘর থেকে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। সুদীপের দুই সন্তান আছে। আত্মহত্যা করতে পারেনা বলে দাবী করেছেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি।
ধনিয়াখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘কে কোথায় কীভাবে মারা গেল তার দায় তৃণমূল কংগ্রেসের নয়। এসব মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নেই। খুন হয়েছে না আত্মহত্যা করেছে সেটা প্রশাসন দেখবে’।
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি সভাপতিকে মারতে যাবে ধরতে যাবে। যে মন্ডল সভাপতি তার বাড়ি গুরাপে সে কল্যানীর হোটেলে কেন যাবে। কী জন্য গিয়েছিল কী হয়েছে? সেটা পুলিস প্রশাসন দেখবে’।