হারলে রক্ষে নেই, ৮ জেলা সভাপতির চাকরি খেয়ে বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ
রবিবার রাতে দিল্লিতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, মালদা, নদিয়া দক্ষিণ, শ্রীরামপুর, কাঁথি, তমলুক, বীরভূম, বারাসত ও কলকাতা উত্তরের সভাপতি বদল হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সভাপতির ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নীতি - আদর্শ নয়, বাংলা দখলে ভোটে জেতাকেই প্রাধান্য দেবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতা কর্মীদের কাছে এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন দলের সভাপতি অমিত শাহ। ভোট মিটতে না-মিটতেই বিজেপি বুঝিয়ে দিন এব্যাপারে কতটা মরিয়া তারা। এক কোপে সরিয়ে ফেলা হল ৮ জেলার সভাপতিকে। তার মধ্যে ৭টি জেলাতেই হেরেছে দল।
রবিবার রাতে দিল্লিতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, মালদা, নদিয়া দক্ষিণ, শ্রীরামপুর, কাঁথি, তমলুক, বীরভূম, বারাসত ও কলকাতা উত্তরের সভাপতি বদল হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সভাপতির ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তাঁরা।
মালদা জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন, গোবিন্দ মণ্ডল। তিনি মালদা দক্ষিণের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ওই আসনে সামান্য ভোটে কংগ্রেসের ডালুবাবুর কাছে হেরে যায় বিজেপি। সভাপতি পদ হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জীব মিশ্র। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, পেটোয়া লোক ঢুকিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।
দমদমে কাউন্সিলরের স্বামীর রহস্যমৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
নদিয়া দক্ষিণের নতুন সভাপতি হয়েছেন মানবেন্দ্র রায়। ওই কেন্দ্রের বিদায়ী সভাপতি জগন্নাথ সরকার ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ায় তাঁকে সরানো হয়েছে। বারাসত কেন্দ্রে হার হয়েছে বিজেপির। সেখানে পদ্ম ফোটাতে পারেননি ডাক্তার মৃণালকান্তি দেবনাথ। ফলে সেখানে বসানো হয়েছে শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়কে। কলকাতা উত্তরের প্রার্থী হয়েছেন কিশোর কর। তমলুকের দায়িত্ব পেয়েছেন নবারুণ নায়েক। কাঁথিতে এসেছেন, অনুপ চক্রবর্তী। শ্রীরামপুরে শ্যামল বসু ও বীরভূমে শ্যামাপদ মণ্ডল।