নদের নিমাইয়ের কীর্তনের তন্ময়তায় BJP-TMC
সামাজিক বিভেদ মুছে হরিনাম সংকীর্তনে বাংলায় নবজাগরণ এনেছিলেন শ্রীচৈতন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে ব্রাহ্মণ্য-গোড়ামিতে হাঁসফাঁস সনাতম ধর্ম। অন্যদিকে, বাংলায় ইসলামি শাসন। ঠিক তখন হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে বিভেদের বেড়াজাল ভেঙে সমাজকে জুড়েছিলেন নদের নিমাই। একুশের ভোটের মুখে সেই সংকীর্তনেই বাংলার মানুষের আবেগ ধরতে চাইছে তৃণমূল (TMC)-বিজেপি (BJP)। রাজনীতির সঙ্গে হিন্দু রীতিনীতি সংমিশ্রণ ঘটাতে বিজেপির (BJP) জুড়ি মেলা ভার। গতকাল, শনিবার নবদ্বীপে জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সভাস্থলে শ্রীখোল ও করতালে কীর্তন করতে দেখা গিয়েছিল দলীয় কর্মীদের। রবিবার তৃণমূলের (TMC) পাল্টা সভা থেকেও ভেসে এল কীর্তনের সুর।
সামাজিক বিভেদ মুছে হরিনাম সংকীর্তনে বাংলায় নবজাগরণ এনেছিলেন শ্রীচৈতন্য। বাঙালি তাই উচ্চস্বরে 'জয় শ্রী রাম' বলেনি। বরং 'হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে' বলেছে। ভক্তির রসেই পেয়েছে ব্রহ্মতন্ময়তা। 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি নিয়ে বিতর্কের মাঝে কৃষ্ণনামে বিজেপির নতুন নির্বাচনী স্লোগান বেঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিয়ম করে সব সভাতেই বলছেন,'হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে'। শনিবার শ্রীচৈতন্যের নবদ্বীপ থেকে পরিবর্তনযাত্রার সূচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তার আগে পুজো দিয়েছেন গৌরাঙ্গ আশ্রমে। নাড্ডার সভাস্থলে খোল-করতাল নিয়ে কীর্তন করেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সবমিলিয়ে, বিজেপির কর্মসূচির আবহে ছিল কীর্তন ও শ্রীচৈতন্য।
আরও পড়ুন- BJP ক্ষমতায় এলে বকেয়া সহ কৃষকদের PM-Kisan-এর টাকা দিয়ে দেবে সরকার: Modi
রবিবার নবদ্বীপেই পাল্টা সভা করেছে তৃণমূল (TMC)। কীর্তনই বা বাদ পড়বে কীভাবে! ঘাসফুলের সভার শুরুতেও খোল-করতাল সহযোগে হরিনাম সংকীর্তন শোনা গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির উপরে যে বহিরাগত তকমা বা উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি আমদানির অভিযোগ উঠছে, তার মোকাবিলার হাতিয়ার হতে পারে বাংলার কীর্তন। কারণ, কীর্তনে রামও আছেন, কৃষ্ণও। আবার বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার গরজ রয়েছে তৃণমূলেরও। হিন্দু-মুসলিম, উচ্চ-নিম্নকে মিলিয়েছিল শ্রীচৈতন্যের সংকীর্তন। এবার মেলাল দুই বিরোধী রাজনৈতিক দলকেও।
আরও পড়ুন- বাম বাড়লে কমবে রাম, অঙ্ক বুঝে 'ম্যাচ ফিক্সিং' তত্ত্ব Modi-র; প্রমাণ করুন: Sujan