Birbhum: বাড়ল জল্পনা, দলের সব পদ থেকে ইস্তফা বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতির
কেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত? বিপ্লব ওঝা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এতদিন তৃণমূল করেছি। আজ আমি এলাকার মানুষজনকে জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্কে ত্যাগ করছি। তার কারণও রয়েছে
![Birbhum: বাড়ল জল্পনা, দলের সব পদ থেকে ইস্তফা বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতির Birbhum: বাড়ল জল্পনা, দলের সব পদ থেকে ইস্তফা বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতির](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/27/401730-1.png)
প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূম জেলার উপরে নজর রয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তবে দলে এতদিন তেমন কোনও ভাঙন সামনে আসেনি। এরইমধ্যে তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দলের জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা। আজই নলহাটিতে সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে এনিয়ে বাড়ল রাজনৈতিক জল্পনা।
আরও পড়ুন-কোভিড নিয়ে ফের চিন্তা বাড়ছে দেশে, শুরু 'মক ড্রিল'! কী এই ব্যবস্থা?
২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিপ্লব ওঝা। সেইসময়কার কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ঘাসফুলের হাত শক্ত হয়। সেইসময় বিপ্লব ছিলেন নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান। ওই পদে ছিলেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। একসময় বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছিলেন। দলের তৃণমূল পর্যায়েও দখল রয়েছে বিপ্লবের। ফলে তার দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত দলের পক্ষে বেশ ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত? বিপ্লব ওঝা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এতদিন তৃণমূল করেছি। আজ আমি এলাকার মানুষজনকে জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্কে ত্যাগ করছি। তার কারণও রয়েছে। ২০০৯ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। সেইসময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলাম। পরবর্তীতে এলাকার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো দখল করার চেষ্টা করি। তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। দল আমাকে সম্মানও দিয়েছে। ২০১৩ সালে যে উপনির্বাচন হয় সেখানে আমাকে প্রার্থী করা হয়। সেই ভোটে আমি হেরে যাই। এরপরে আমি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হই। এর পরেও আমি লক্ষ্য করে দেখছি, গত একবছর তৃণমূলের কাছে আমার কোনও মূল্য নেই। দলের মিটিং, মিছিলে আমাকে ডাকা হয় না। আমার অনুগামীরা এটা লক্ষ্য রাখছিল। স্বভাবতই আমি তার কোনও উত্তর দিতে পারছিলাম না। তাই দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।