কংগ্রেসের সদর দফতরে বিমান বসু, তবে কি...

কয়েক দশক আগেও যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছিল সিপিএমের মূল লড়াই মোদীর ধাক্কায় তারাই আজ এক ঘাটে। সোমবার বিকেল ৪টেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পার্টি অফিস থেকে বিধান ভবনে যান বিমান বসু। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।

Updated By: Sep 30, 2019, 06:36 PM IST
কংগ্রেসের সদর দফতরে বিমান বসু, তবে কি...

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই দলের রাজ্য সদর দফতরের দূরত্ব মেরে কেটে ১০ মিনিট। যদিও মতাদর্শের দিক থেকে দুই মেরুর বাসিন্দা তারা। এক সময় যে দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদয়াস্ত এক করতেন সোমবার তারই সদর দফতরে হাজির হলেন বিমান বসু। এনআরসি বিরোধিতায় বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করতে সোমবার বিধান ভবনে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। এই প্রথম। 

 

লোকসভা নির্বাচনের আগে বাম - কংগ্রেসর জোটের রূপরেখা ঠিক করতে একের পর এক বৈঠক হলেও কারও পার্টি অফিসে যাননি কেউ। কখনো বৈঠক হয়েছে প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে। কখনো আবার গণশক্তির পাঠাগারে বৈঠকে বসেছেন তাঁরা। তবে লোকসভা নির্বাচনের পর বদলেছে পরিস্থিতি। রাজ্যে বিজেপির নজরকাড়া শ্রীবৃদ্ধি আরও কাছাকাছি এনেছে সিপিএম ও কংগ্রেসকে। আর তাতেই নতুন করে এরাজ্যে হারানো জমি পুনরুদ্ধেরের নকসা তৈরি করছে তারা। 

কয়েক দশক আগেও যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছিল সিপিএমের মূল লড়াই মোদীর ধাক্কায় তারাই আজ এক ঘাটে। সোমবার বিকেল ৪টেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পার্টি অফিস থেকে বিধান ভবনে যান বিমান বসু। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বিধান ভবনে চলছে মহাত্মা গান্ধীর ওপর একটি প্রদর্শনী। সেই প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন বিমান বসু। তার পর সোমেন মিত্র ঘরে চা-বিস্কুট সহযোগে শুরু হয় বৈঠক। 

বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুজো মিটলেই এনআরসির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে মাঠে নামবে ২ দল। শুধু এনআরসির বিরোধিতা নয়, এনআরসি নিয়ে যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায় সেজন্যও যৌথ প্রচার চালাবে ২ পক্ষ। এদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা বিধান ভবনে কাটান বিমানবাবু। 

জলের তোড় সামলাতে ফরাক্কা ব্যারাজের সব ক'টি লকগেট খুলে দিল কর্তৃপক্ষ

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক রাজ্যে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস-সহ আঞ্চলিক দলগুলি। যার ফলে হাত ধরতে বাধ্য হয়েছে যুযুধান ২ পক্ষ। সেই পথ ধরে বিহারে নীতীশের হাত ধরেছেন লালু। যদিও সেই জোট টেকেনি। উত্তর প্রদেশে অখিলেশের হাত ধরেছেন মায়াবতী। সেই জোটও মুখ থুবড়ে পড়েছে। কর্নাটকে জেডিএস - কংগ্রেস জোটেরও পরিণতি একই। এবার পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস - সিপিএম অন্য কোনও পরিণতির কারণ হতে পারে কি না সেটাই দেখার। 

সিপিএমের যদিও দাবি, বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে দল যে কোনও অসাম্প্রদায়িক শক্তির হাত রাখঢাক না করেই ধরতে রাজি, এদিন সেই বার্তা দিলেন বিমানবাবু।    

.