বারাকপুর এবার কর্পোরেশন, শিল্পাঞ্চল দখলে রাখতেই কৌশলী সিদ্ধান্ত সরকারের, বলছে বিজেপি
পাশাপাশি জেটিয়া, মোহনপুর, কাউগাছি ১ এবং ২ পঞ্চায়েতের একাংশও কর্পোরেশনের আওতায় আসবে। পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্পোরেশন হতে চলেছে বারাকপুর। ৮টি পুরসভা এবং পাঁচটি পঞ্চায়েতের খানিকটা অংশ নিয়ে গঠিত হবে বারাকপুর কর্পোরেশন। পুরসভাগুলোর হাতে পৌঁছে গিয়েছে নির্দেশিকা। শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তত্পরতা।
উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসকের কাছে ইতিমধ্যেই কর্পোরেশন গঠনের নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। গত জুলাইয়ে এই বিষয়ে পুরসভাগুলোর মতামত জানতে চায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই মতো বৃহস্পতিবারই কর্পোরশন গঠনের চূড়ান্ত চিঠি পুরসভাগুলোর হাতে এসে পৌঁছয়। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৮ টি পুরসভা এবং ৫টি পঞ্চায়েতের আংশিক এলাকা নিয়ে গড়ে উঠবে কর্পোরেশন। তার মধ্যে পড়বে বারাকপুর, টিটাগড়, উত্তর বারাকপুর, গারুলিয়া, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিসহর, কাঁচরাপাড়া পুরসভা।
পাশাপাশি জেটিয়া, মোহনপুর, কাউগাছি ১ এবং ২ পঞ্চায়েতের একাংশও কর্পোরেশনের আওতায় আসবে। পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে। পুরসভাগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসেব, জনসংখ্যা, পুর এলাকার পরিমাণ জানতে চেয়েছে প্রশাসন। এই কর্পোরেশন হলে আখেরে মানুষেরই উপকার হবে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে সবপক্ষ। যদিও রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, বারাকপুর কর্পোরশন গঠনের ঘোষণা রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত কৌশলী সিদ্ধান্ত।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, লোকসভা ভোটের পর থেকে ভাটপাড়া-সহ গোটা শিল্পাঞ্চলে যেভাবে গেরুয়া-ব্রিগেডের মাটি শক্ত হয়েছে, তাতে উন্নয়নকে সামনে রেখেই পরবর্তী ভোটের ময়দানে নামার কথা ভাবছে ঘাসফুল ব্রিগেড।