অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদের 'শাস্তি', মোড়লদের মাতব্বরিতে গ্রামে একঘরে পরিবার
গ্রামের মোড়লদের ফতোয়া। কয়েক মাস ধরে একঘরে নন্দীগ্রামের একটি পরিবার। পুলিস,প্রশাসন সবার কাছে দরবার করেও সুরাহা মেলেনি। বরং নিদান জারি হয়েছে গ্রামবাসীদের কেউ ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তাকেও ফাইন করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রামের মোড়লদের ফতোয়া। কয়েক মাস ধরে একঘরে নন্দীগ্রামের একটি পরিবার। পুলিস,প্রশাসন সবার কাছে দরবার করেও সুরাহা মেলেনি। বরং নিদান জারি হয়েছে গ্রামবাসীদের কেউ ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তাকেও ফাইন করা হবে।
গ্রামেই দোকান বাজার।কিন্তু নন্দীগ্রামের কেন্দামারী জালপাই শ্যামসুন্দরি চকের পঙ্কজ পাত্র বাজার করেন মাইল খানেক উজিয়ে অন্য গ্রামে। তবে স্বেচ্ছায় নয়, বাধ্য হয়ে। গ্রামের মোড়লদের নিদানে বয়কট করা হয়েছে পাত্র পরিবারকে। জমিতে জন-মুনিষ নামেনা। কোনওক্রমে সবজি ফলালে-ক্ষেতে ছাগল-গরু নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কেন এমন? পাত্র পরিবার বলছে, বড় রাস্তার কাছে তাদের বেশ খানিকটা জমি আছে। তাদের জমি আর রাস্তার মাঝে যে খাস জমি রয়েছে, সেখানে গ্রামের মোড়লরা বেশ কিছু অবৈধ নির্মাণ করছিলেন। পাত্র পরিবার প্রতিবাদ করে। তার পর থেকেই এই অত্যাচার।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলছেন, ‘এই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে তিনি তা দেখবেন।‘
তিনি হয়তো দেখবেন। কিন্তু পাত্র পরিবারের অভিজ্ঞতা অন্য রকম। তাঁদের দাবি তারা থানায় জানিয়েছেন, জানিয়েছেন জেলাশাসক, পুলিস সুপার কে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বরং বয়কটের তীব্রতা বেড়েছে। এখন ওদের সঙ্গে কথা বললে গ্রামবাসীদের পাঁচশ টাকা ফাইন করা হচ্ছে।