ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে তিন জেলায় বাসে ভাঙচুর
সকাল থেকেই হাওড়া, কোচবিহার, বীরভূমের সিউড়ি- তিন জেলায় বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বাসে হামলা ধর্মঘটীদের। সকাল থেকেই হাওড়া, কোচবিহার, বীরভূমের সিউড়ি- তিন জেলায় বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে।
হাওড়ায় বাসে ভাঙচুর চলে। কোচবিহারের মড়াপোড়া চৌপথী এলাকায় ভাঙচুর হয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস। বাসটি কোচবিহার থেকে দিনহাটা যাচ্ছিল। আচমকা গলি থেকে দুজন বেরিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাসে ঢিল মারে। ভেঙে যায় গাড়ির সময়ের গ্লাস । এই ঘটনায় আহত হয়েছেন গাড়ির চালক সহ যাত্রী।
আরও পড়ুন: হাবড়ায় রেললাইনের ওপর বোমা, বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত
অন্যদিকে বাসের হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়িও। পুরসভার কাছে মিছিল করছিলেন সিটু কর্মী সমর্থকরা। সেখান থেকে একটি সরকারি বাস যাচ্ছিল। মিছিল থেকে আচমকাই ধর্মঘটীরা হামলা করে। বাস ঘিরে ধরে ঢিল ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বনধের দ্বিতীয় দিনে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন অবরোধ, ব্যাহত রেল পরিষেবা
ঘটনায় সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “আমারা কর্মীরা কোথাও কোনও অশান্তি করছে। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই বিভিন্নভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।”
অন্যদিকে, বর্ধমানের পালসিটেও ধর্মঘটের প্রথম দিনই একটি গাড়িতে হামলা করেন ধর্মঘটীরা। বর্ধমানের রাজ কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন। জাতীয় সড়কের ওপর অবরোধ করেছিলেন ধর্মঘটীরা। গাড়ি দেখেই তাঁরা হামলা চালান। ‘পরীক্ষা রয়েছে’ একথা বারবার বলা সত্ত্বেও ধর্মঘটীরা তা শোনেননি। ঘটনার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও ধৃতদের দাবি, ঘটনার সময়ে তাঁরা সেখানে ছিলেন না। ফুটেজেও তাঁদের দেখা যায়নি। তবুও তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।