Asansol Suicide: ছেলেকে নিয়ে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে নিখোঁজ, মর্মান্তিক পরিণতি মা ও সন্তানের
গ্রামেরই এক ব্যক্তি জানান, সুমন ঠাকুর এখানকারই মেয়ে। বিয়ে হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। সকালে চার বছরের বাচ্চা সুমিতকে নিয়ে এদিকে এসেছিল। তারপর একটি পরিত্যক্ত কুঁয়োয় ঝাঁপ দেয়
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: সকালে হাঁটতে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি বাড়ির মেয়ে। ঘরে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে খোঁজখবর শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি গিয়েছে। কুলটির বামনডিহায় কলিয়ারির একটি পরিত্যক্ত চানক(কুঁয়ো) থেকে মিলল মা ও ছেলের মৃতদেহ। বুধবার সকালের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। নিহত মহিলার নাম সুমন ঠাকুর এবং তার ৪ বছরের সন্তানের নামে সুমিত ঠাকুর। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন সুমন। বেলা হয়ে যাওয়ার পরও ফিরে না আসায় খোঁজ শুরু হয়। দেখা যায় ওই পরিত্যক্ত কুঁয়োর পাশে পড়ে রয়েছে সুমনের চটি। তখনই এলাকার মানুষজনের চেষ্টা ওই কুঁয়ো থেকে সুমিতের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, পারিবারিক সমস্যার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন সুমন।
আরও পড়ুন-আন্দোলন লগ্নে জন্ম, অথচ আন্দোলনকেই ভয় পান, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
মৃতার ভাইয়ের দাবি, দিদি রোজই মর্নিং ওয়াক-এ যায়। আজ আমার বৌদির উঠতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই দিদিকে বলে আজ যাব না। সকালের খাবার বানাতে হবে। দিদি মর্নিং ওয়াক শেষ করে সঙ্গে থাকা ভাইপোকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ও ঘরে ফিরলেও বহুক্ষণ দিদি ফেরেনি। তখনই বাবা ওকে খুঁজতে লোক পাঠায়। তখনই পরিত্যাক্ত ওই কুঁয়োর কাছে ওর চপ্পল পাওয়া য়ায়। এরপরই ফের জোরকদমে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। জামাইবাবু সঙ্গে বোনের কোনও ঝামেলা ছিল না। ভাইয়ের সঙ্গে জামাইবাবু চিকিত্সার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিল। গতকালই ফিরে এসেছে। কোনও সমস্যার কথা শুনিনি।
গ্রামেরই এক ব্যক্তি জানান, সুমন ঠাকুর এখানকারই মেয়ে। বিয়ে হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। সকালে চার বছরের বাচ্চা সুমিতকে নিয়ে এদিকে এসেছিল। তারপর একটি পরিত্যক্ত কুঁয়োয় ঝাঁপ দেয়। বোঝা যাচ্ছে না কী থেকে কী হয়েছে। সাংসারিক কোনও ঘটনা হতে পারে। ওঁর স্বামী থাকেন বুদবুদে। চিকিত্সা করাতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন শুনেছি।