প্রসেনজিৎ মালাকার: কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের আয়কর রিটার্নে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকন্যার আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কোন জাদুতে? চার্জশিটে প্রশ্ন সিবিআই তদন্তকারীদের। শুধু সুকন্যা নয়, বিপুল হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেরও। ৮ বছরে অনুব্রতর আয় বেড়েছে প্রায় ১৯ গুণ।
সুকন্যার আয় বৃদ্ধি
বছর আয় (টাকা)
২০১৩-১৪ ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৯৯
২০১৪-১৫ ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬
২০১৫-১৬ ১০ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৭
২০১৬-১৭ ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৬২৭
২০১৭-১৮ ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৮
২০১৮-১৯ ৫১ লাখ ৪১ হাজার ৩২১
২০১৯-২০ ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৯
২০২০-২১ ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০
২০২১-২২ ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০
অনুব্রতর আয় বৃদ্ধি
বছর আয় (টাকা)
২০১৩-১৪ ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭
২০১৪-১৫ ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬০৪
২০১৫-১৬ ১৫ লাখ ২০ হাজার ৫৯
২০১৬-১৭ ৩২ লাখ ১ হাজার ৪৭১
২০১৭-১৮ ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬২
২০১৮-১৯ ৫০ লাখ ৬১ হাজার ৭৩৭
২০১৯-২০ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫১
২০২০-২১ ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪০
২০২১-২২ ১ কোটি ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৪
প্রসঙ্গত, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি এএনএম অ্যাগোরোকেম প্রাইভেট লিমিটেডকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সোমবারের মধ্যে কোম্পানির সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই কোম্পানির ডিরেকটর দুজন। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গাইন। দুজনকেই ১৬০ ধারায় নোটিস ধরানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে ২০১৫ সালের শেষের দিক থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন বীরভূম জেলার কোনও না কোনও ব্যাংকে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে নগদ জমা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এই নগদ জমার পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি! বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হওয়া এই নগদ কোথা থেকে এল? তদন্তকারীরা মনে করছেন, একমাত্র হাওয়ালা যোগ থাকলেই এই টাকা আসতে পারে! সিবিআই সূত্রে খবর, ব্যাংকে এই টাকা জমা হওয়ার পরই অনুব্রত মণ্ডল মেয়ে সুকন্যা ও নিজের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে। বিভিন্ন সম্পত্তি ও জমি ক্রয় করে।