Anubrata Mondal: পুরসভার ড্রাইভার, কেষ্টঘনিষ্ঠ বিদ্যুতের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ...
Anubrata Mondal: বিদ্যুৎ গাইনের নামে অনুব্রত মন্ডল বিশাল পরিমান জমি ও টাকা রেখেছেন এমন কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ১৬২টি বেনামী সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবিও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Anubrata Mondal, প্রসেনজিৎ মালাকার: মাত্র ২ বছরে বোলপুরে কিনেছেন ৫৬০ কাঠা জমি, যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ কোটি টাকার উর্দ্ধে। পুরসভার ড্রাইভারের এত সম্পত্তি, হতবাক সাধারণ মানুষ। কেষ্টঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ গাইনের এমনই সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেল সরকারি খাতায়। প্রথম থেকেই সিবিআই রেডারে রয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ গাইন। কে এই বিদ্যুৎ গাইন? বিদ্যুৎ গাইন অনুব্রত মন্ডলের ছায়াসঙ্গী ও সব থেকে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। তিনি বোলপুর পুরসভায় গাড়ি খালাসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন পরে অবশ্য প্রমোশন পেয়ে ড্রাইভার হয়েছেন।
আরও পড়ুন:Cow Smuggling Case: গোরুপাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ
এই বিদ্যুৎ গাইনের নামে অনুব্রত মন্ডল বিশাল পরিমান জমি ও টাকা রেখেছেন এমন কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ১৬২টি বেনামী সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবিও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সম্প্রতি জি ২৪ ঘণ্টার কাছে সরকারি খাতায় বিদ্যুৎ গাইনের যে সম্পত্তির তথ্য সামনে এসেছে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও হতবাক করতে পারে।
বোলপুর এলাকায় বিদ্যুতের মোট জমি ৭২ টি। যা প্রায় ৫৬০ কাঠা, কাঠা প্রতি এই জমির মূল্য যদি ৬ লক্ষ টাকাও ধরা হয় তাহলে এই সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ কোটি টাকার উপরে। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজাতেই ৫৭ টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের। এই মৌজা এলাকাতেই বাড়ি বিদ্যুৎ গাইনের, পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের বাড়িও এই মৌজাতেই। এছাড়াও, বোলপুর মৌজায় রয়েছে ২ টি জমি, সুরুল মৌজায় ২ টি জমি, বল্লভপুর মৌজায় ৭ টি জমি, কংকালীতোলা মৌজায় ৪ টি জমি রয়েছে বিদ্যুতের।
আরও পড়ুন: Halisahar, CBI: এবার সিবিআই নজরে বীজপুরের বিধায়ক এবং কাঁচড়াপাড়ার চেয়ারম্যান, বাড়িতে তল্লাশি
উল্লেখ্য ভাবেই সরকারি তথ্য বলছে ২০২০ ও ২০২১ সালেই কেনা হয়েছিল এই সমস্ত জমি। পাশাপাশি সিবিআই- এর তথ্য অনুযায়ী অনুব্রতকন্যা সুকন্যার দুটি কোম্পানিরও অন্যতম ডিরেক্টর হিসাবে রয়েছে এই বিদ্যুৎ গাইন। পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে খবর, এই জমিগুলি প্রভাব খাঁটিয়ে জমির দাম কমিয়ে কেনা বেচা করা হয়েছে। ফলে এক দিকে যেমন কালোটাকা সাদা করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই সরকারি টাকাও অর্থাৎ মিউটেশন রেজিস্ট্রি করতেও কম টাকা দিতে হয়েছে।