Rampurhat Arson: পুলিসি হেফাজত আনারুলের, একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রামপুরহাটকাণ্ডে (Rampurhat Arson) যখন সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court), তখন ধৃত আনারুল হোসেনকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠাল রামপুরহাট মহকুমা আদালত। বিচারক জানালেন, আনারুলকে মূল চক্রী হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অন্য অভিযুক্তদের নাম জানা যাবে।
পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে কারা খুন করল? গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুনইবা লাগিয়ে দেওয়া হল কেন? রামপুরহাটকাণ্ডে তদন্তে সিট (SIT) গঠন করে রাজ্য সরকার। এরপর গতকাল, বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। স্রেফ আক্রান্ত-ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলা নয়, তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারেরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আড়াই ঘণ্টার মধ্য়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন ধৃতকে তোলা হয় রামপুরহাট মহকুমার আদালতে। আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র, অগ্নিসংযোগ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।
এদিকে রামপুরহাট কাণ্ডে আবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন? আদালত জানিয়েছে, 'ঘটনার সবটা শুনেছি। 'শকিং' এই ঘটনার বিচারের জন্য এবং সত্য উদঘটনের জন্য CBI তদন্ত করবে। সত্য উদ্ঘাটনের প্রয়োজন আছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থেই তদন্তভার সিবিআই হাতে তুলে দেওয়া হল'। সিটের কাছে ইতিমধ্যেই FIR-র কপি চেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মামলা রুজু করার পর কেস ডায়েরি হাতে নেবে সিবিআই।