অগাস্টে পৃথক দেশের দাবি, দু'মাসেই ভোল বদলে আত্মসমর্পণ KLO জঙ্গি নেতা পিন্টু বড়ুয়ার
সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ KLO-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং KLO-র প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: KLO-র তিন শীর্ষ নেতার মধ্যে অন্যতম সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ সোমবার আত্মসমর্পণ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। গত অগাস্ট মাসেই সুদীপ আলাদা দেশের দাবি তুলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন।
সোমবার সকালে বালুরঘাট পুলিশ সুপার অফিসে ওই জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেন এবং তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপনের ফিরে আসার আশ্বাস দেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই জঙ্গির নাম সুদীপ সরকার তার জঙ্গিতে থাকাকালীন নাম ছিল পিন্টু বড়ুয়া কোচ। তিনি জঙ্গি দলের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে ছিলেন। এদিন সরকারের প্রতি আস্থা রেখে তিনি আত্মসমর্পন করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট চারজনকে KLO জঙ্গি যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে তার জন্য সব রকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে বালুরঘাট পুলিশ অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার রাহুল দে। পুলিশ সুপারের পাশাপাশি হাজির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম এবং ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝা।
আরও পড়ুন: STF: ধানবাদ-কলকাতা বাস থেকে উদ্ধার বিপুল সেমি ফিনিশড অস্ত্র, গ্রেফতার এক মহিলা-সহ ৩
সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ KLO-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং KLO-র প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার অধীনে বোইরাপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, "৩২ বছর বয়সী এই KLO সদস্য ২০০৫ সালে KLO-তে যোগ দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি KLO- এর কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার সময় ভুটান, বাংলাদেশ এবং মণিপুর, মিয়ানমারেও গিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে KLO-র অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন এবং ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কোচ কামতাপুরী জনগণের জন্য পৃথক দেশের দাবিতে একটি প্রেস নোট প্রকাশ করেন। ২০১২ সালে দার্জিলিং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং জামিন পাওয়ার পর তিনি আবার KLO-তে যোগদান করেন। তিনি এবং কৈলাশ কোচ (সাধারণ সম্পাদক, KLO) দুজন গুরুত্বপূর্ণ পদধারী যারা জীবন সিংয়ের সাথে কাজ করেন। শেষ কিছুদিন সুদীপ সরকার আসাম ও বাংলাদেশে ছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি সংগঠনের কাজ করছিলেন। সরকারি আত্মসমর্পণ নীতির তথ্য পাওয়ার পর তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন"।