চুল-দাড়ি কামিয়ে 'সাধু' সেজে মন্দিরে আশ্রয়! নরেন্দ্রপুর খুনে পুলিসের জালে স্বামী
দা দিয়ে গলায় কোপ মারে। দু খণ্ড হয়ে যায় কৃষ্ণাদেবীর দেহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন :মাথার চুল কেটে, গলায় মালা পড়ে মন্দিরে আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। নরেন্দ্রপুরের কুসুম্বায় স্ত্রী খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হল অভিযুক্ত স্বামী। বেহালার ভাটিখানায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। একটি মন্দির থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃতের নাম বাপি বৈদ্য।
তদন্তে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর জমানো লক্ষাধিক টাকা চেয়েও না পাওয়াতেই তাঁকে খুন করে বাপি বৈদ্য। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কুসুম্বায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন বাপি বৈদ্য ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা বৈদ্য। বাপি পেশায় গাড়িচালক। বেশিরভাগ দিন বাড়ির বাইরেই থাকতেন।
সম্প্রতি তার গাড়ি খারাপ হয়ে যাওযায় গত ২০ থেকে ২২ দিন বাড়িতেই ছিল। রোজই প্রায় অশান্তি হত। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় স্ত্রী কৃষ্ণা দেবীর উপর হামলা চালাত। প্রায়ই মারধোর করত স্ত্রীকে। এখন অন্যের বাড়িতে কাজ করে এক লাখ টাকার মতো জমিয়েছিলেন কৃষ্ণাদেবী। সেই টাকা তাকে দেওয়ার কথা বলে বাপি।
আরও পড়ুন, নিমতায় কুপিয়ে খুন যুবককে; বাড়ির পাশের ঝোপে মিলল নলিকাটা দেহ, সন্দেহের তির স্ত্রীর দিকে
কৃষ্ণা দেবী তাতে রাজি না হওয়াতেই তীব্র বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেইসময়ই দা দিয়ে গলায় কোপ মারে। দু খণ্ড হয়ে যায় কৃষ্ণাদেবীর দেহ। এরপর সেই দেহ বিছানায় ঢাকা দিয়ে চম্পট দেয় বাপি বৈদ্য। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে। শনিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বাপি বৈদ্যের প্রথম পক্ষের স্ত্রী বুলা থাকে। যদিও বুলার মা ও স্থানীয়দের দাবি, ১৪ বছর আগেই বাপি বুলাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর নতুন সংসার পাতে। সেইথেকে আর কোনও যোগাযোগ নেই প্রথম স্ত্রী বুলার সঙ্গে।