নিমতায় কুপিয়ে খুন যুবককে; বাড়ির পাশের ঝোপে মিলল নলিকাটা দেহ, সন্দেহের তির স্ত্রীর দিকে
পুলিশ জানতে পেরেছে সঞ্জীবনের স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তির বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর জেরে প্রায়ই ঘরে অশান্তি হতো
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের বাড়ির কাছেই ঝোপে মিলল যুবকের নলিকাটা দেহ। ঘরের মধ্যে জমে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। পুলিসের অনুমান কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে নিমতার পূর্ব আলিপুরে। নিহত যুবকের নাম সঞ্জীবন মন্ডল।
আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরে পর 'বাংলাভাগ' চেয়ে অমিতকে চিঠি রাজু বিস্তের, কী বলল রাজ্য বিজেপি?
প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান কেউ বা কারা কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে সঞ্জীব মন্ডলকে। সঞ্জীবনের স্ত্রী অনিতা মন্ডলকে জেরা করে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিসের সন্দেহ দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে অনিতার সঙ্গে।
নিমতা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মৃত সঞ্জীবনের স্ত্রী অনিতা মন্ডলকে। তিনি পুলিশকে জানান, সন্ধের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে দেখতে পান ঘরে রক্ত পড়ে রয়েছে। তখন তার চিৎকারে পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে বাড়ির কাছেই ঝোপের মধ্যে গলার নলি কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় সঞ্জীবনের দেহ। ঘটনার খবর যায় নিমতা থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পাড়ার লোকেদের বয়ানের সঙ্গে অনিতার কথার কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছে না পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে ওড়না জাতীয় কিছুর ফাঁস লাগিয়ে তার পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করা হয় সঞ্জীবকে। পরে দেহ ঘরের পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। এভাবে খুন করে দেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার পেছনে আরো কয়েকজন রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঘর থেকে অনিতার রক্তমাখা নাইটিও উদ্ধার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন-'কাশ্মীরে সেনা পাঠাক বাংলাদেশ,' ফেসবুক পোস্ট করে নিউটাউনে ধৃত বাংলাদেশি
যে ঘরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে তার ১০ মিটারের মধ্যেই রযেছে ২টি ঘর। একটিতে থাকেন সঞ্জীবনের বৃদ্ধা মা। অন্যটিতে তার ভাই। কিন্তু শনিবার ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না সেই সুযোগেই খুন করা হয়।
পুলিশ জানতে পেরেছে সঞ্জীবনের স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তির বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর জেরে প্রায়ই ঘরে অশান্তি হতো। সেই কারণেই খুন, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।